পাঁচ ডলারেই সৌরবাতি

পাঁচ মার্কিন ডলার মূল্যের ছোট সৌর বাতি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনভেন্টিড।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2017, 12:12 PM
Updated : 22 May 2017, 12:12 PM

আফ্রিকান দেশগুলোকে লক্ষ্য করেই এই সস্তা সৌর বাতি তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে এটির উৎপাদন শুরু করতে চীনা একটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে ইনভেন্টিড।

চীনের ইয়ংলি এবং দাতব্য স্বংস্থা সোলার এইড-এর সঙ্গে মিলে সৌর বাতিটি উদ্ভাবন করা হয়, বলা হয়েছে বিবিসি-এর প্রতিবেদনে।

একবার পূর্ণ চার্জে আট ঘন্টা জ্বালানো যায় এই সৌর বাতি। স্ট্যান্ডের সঙ্গে এতে স্ট্র্যাপ লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

এখনও আফ্রিকার বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। এসব অঞ্চলের প্রায় ৬০ কোটি বাসিন্দা এখনও কেরোসিন বাতি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু কেরোসিন বাতিগুলো খরুচে। আর এতে আগুন লাগার ভয় রয়েছে।

ইনভেন্টিড সহ-প্রতিষ্ঠাতা হেনরি জেমস বলেন, “কেরোসিনের ব্যবহার মানুষকে চরম দারিদ্রের চক্রে আবদ্ধ করে রাখে, মাসিক আয়ের প্রায় এক চতুর্থাংশ তারা জ্বালানীতে ব্যয় করেন।”

তিনি আরও বলেন, “এই চক্র ভাঙ্গতে আমরা সোলারএইড-এর সঙ্গে কাজ করেছি, যা যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় সৌর দাতব্য সংস্থা। এমন একটি বাতি নকশা করা হয়েছে যা সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারটিরও ব্যবহারের সামর্থ্য রয়েছে। এর মানে এমন একটি বাতি নকশা করা যা আফ্রিকায় পাঁচ ডলারে বিক্রি হবে।”

২০১২ সালে ব্রায়ান মরগান-এর সঙ্গে ইনভেন্টিড প্রতিষ্ঠা করেন জেমস। বাতি তৈরি করতে আফ্রিকান দাতব্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে থেকে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইতোমধ্যেই আফ্রিকার তিনটি দেশ মালাওয়ি, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া-তে নয় হাজার পরিবারের মধ্যে এসএম১০০ মডেলের বাতিটি পরীক্ষা করেছে ইনভেন্টিড।

“আমরা বিশ্বের এমন অঞ্চলের কথা বলছি যেখানে মানুষের বার্ষিক আয় ৩৫০ মার্কিন ডলার,” বলেন জেমস।

চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপিয়ান প্রোডাক্ট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডস-এর টেকসই ও সমাজের জন্য নকশা বিভাগে পুরষ্কার পেয়েছে এসএম১০০ মডেলের বাতিটি।