ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি ওই অ্যাপগুলোর নির্মাতারা এই ফাংশন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের সংগ্রহ করা অর্থ থেকে ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।
কোনো অ্যাপ নিয়ে নির্মাতাদের প্রশংসা করতে চীনা ব্যবহারকারীরা তাদের ইচ্ছামতো বকশিশ দিয়ে থাকে। এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে পাঠানো হয়ে যায়, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
অ্যাপের ভেতর যে কোনো ধরনের কেনাকাটা থেকে অ্যাপল অ্যাপ নির্মাতাদের সঙ্গে আয় ভাগ করে নেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অ্যাপ নির্মাতারা পায় ৭০ শতাংশ আর বাকিটা যায় অ্যাপলের পকেটে।
অ্যাপলকে ৩০ শতাংশ আয় দেওয়াটা কোনো অ্যাপ নির্মাতা পছন্দ না করলে, তাদের হাতে অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ সরিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকে না। এবার বকশিশের ক্ষেত্রেও এমন ভাগ মেনে নিতে নির্মাতাদের আহ্বান জানিয়েছে অ্যাপল, না হলে তাদের অ্যাপের আর কোনো আপডেট অ্যাপ স্টোরে না আসার শঙ্কা রয়েছে।
যদি অ্যাপ নির্মাতারা নীতিমালা মানতে ব্যর্থ হয় তবে অ্যাপ স্টোর থেকে তাদের অ্যাপ সরিয়েও দেওয়া হতে পারে সতর্ক করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছর জানুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে মোট ব্যবহৃত ৫৫ কোটি স্মার্টফোনের মধ্যে ৭৫ শতাংশই গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত। কিন্তু দেশটিতে গুগল প্লেস্টোর নিষিদ্ধ। এই শূন্যস্থান পূরণ করছে বাইদু আর টেনসেন্ট-এর মতো সেখানাকার স্থানীয় অ্যাপ স্টোরগুলো। এখন এই অ্যাপ স্টোরগুলো সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে বলে জানায় দেশটির সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না।
নিজেদের দেশে কীভাবে অ্যাপ স্টোরগুলো পরিচালনা করা হবে তার উপর সবসময়ই চীনা সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল। চলতি মাসে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর অ্যাপ সরিয়ে নিতে বলে দেশটি, আর তা সরিয়েও নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে অ্যাপলকে আইটিউনস মুভিস আর আইবুকস সেবাও বন্ধ করে দিতে হয়।