শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, অনেক কর্মীর জন্যই বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। এ যাবৎ প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করার মূল সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি ছিল এটি।
কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিবেচনা করা হয় আইবিএম-কে। এতে পুঁজি বাড়ার পাশাপাশি উৎপাদন বাড়ে বলে উল্লেখ করা হয়।
২০০৭ সালে আইবিএম-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিশ্ব জুড়ে প্রতিষ্ঠানের চার লাখ কর্মীর প্রায় ৪০ শতাংশের প্রচলিত অফিস নেই। এবার সে নীতি পরিবর্তন করছে তারা। প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মীকেই এখন অফিস জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে।
আইবিএম-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো বেশ কিছু খাতে কাজের প্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে, এখন কাজের নতুন ধরন দরকার।”
নতুন নীতিমালায় ঠিক কতো জন কর্মীকে অফিসে এসে কাজ করতে হবে এবং তাদেরকে কোথায় কাজে লাগানো হবে তা জানায়নি আইবিএম। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এখনও কিছু কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন।
যেসব কর্মীকে অফিসে আসতে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক কর্মী তাতে সম্মতি জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, কেউ যদি অফিসে আসতে অসম্মতি জানায় তারা চাকরি হারাতে পারেন।
১৯৯৫ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে অফিসের জায়গা ৭.৮ কোটি বর্গফুট কমিয়েছে আইবিএম। এর মধ্যে ৫.৮ কোটি বর্গফুট জায়গা বিক্রি করে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি।