জুনে আরও বড় সাইবার আক্রমণ?

যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকিং টুল ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ওয়ানাক্রাই র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ চালানো দলটি এবার আরও ক্ষতিকর কোড ছাড়ার হুমকি দিয়েছে। এ হুমকির পর মঙ্গলবার সম্ভাব্য আরেকটির সাইবার আক্রমণের ধাক্কার দিকে নজর দিয়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2017, 11:56 AM
Updated : 17 May 2017, 11:56 AM

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই সাইবার হামলায় শুক্রবার থেকে তিন লাখেরও বেশি কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার আক্রমণ কিছুটা শিথিল হয়ে এলেও কারা এবং কেন এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

এই আক্রমণে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ’র হাতে থাকা টুল ব্যবহার করা হয়েছে, যা চলতি বছর এপ্রিলে ফাঁস হয়ে যায়।

এনএসএ’র কাছ থেকে এই টুল হাতিয়ে নেওয়ার দাবি করা দল শ্যাডো ব্রোকারস মঙ্গলবার এমন আরও কোড ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এই কোড ছেড়ে দেওয়া হলে তা বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত কম্পিউটার, সফটওয়্যার আর ফোনগুলোর নিরাপত্তা হ্যাকাররা লঙ্ঘন করতে পারে।

শ্যাডো ব্রোকারস-এর পক্ষ থেকে দেওয়া এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, চলতি বছর জুন থেকে প্রতি মাসে এমন টুল বের করা হবে। প্রযুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কিছু বাণিজ্যিক গোপনীয়তা অ্যাকসেস করতে অর্থ পরিশোধ করতে চায় এমন যে কারও কাছে এই টুলগুলো দেওয়া হবে।

এখানেই শেষ নয়, রাশিয়া, চীন, ইরান আর উত্তর কোরিয়ার চালানো পারমাণবিক ও মিসাইল কার্যক্রম ও বিশ্বব্যাপী ব্যাংকগুলোর ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেন নেটওয়ার্ক সুইফট থেকে ডেটা ফাঁসের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। “জুনে আরও বিস্তারিত” প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওই দলটি।

মঙ্গলবার ওয়ানাক্রাই আক্রমণ কিছুটা শিথিল হয়েছে, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। কানাডার ফরাসী ভাষায় পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় উনিভার্সিত দ্য মন্ট্রিয়াল-এর ৮৩০০টি কম্পিউটারের মধ্যে ১২০টি আক্রান্ত হয়েছে, এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এক মুখপাত্র।

যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনো বড় ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ১০টিরও কম মার্কিন প্রতিষ্ঠান দেশটির ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটিজ-এর কাছে অভিযোগ করেছে।

চেক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান আভাস্ট-এর তথমতে, রাশিয়া, তাইওয়ান, ইউক্রেইন আর ভারত এই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। 

রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকাংশ মার্কিন ব্যবহারকারী লাইসেন্সকৃত বা আপডেট করা সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। আর এই আক্রমণে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজের পুরানো কিছু সংস্করণকে লক্ষ্য করায় বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক বড় ক্ষতি এড়াতে সক্ষম হয়েছে। দেশটির ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটিজ চলতি বছর মার্চে মাইক্রোসফটের আনা উইন্ডোজ আপডেটের গুরুত্ব নিয়ে প্রযুক্তি খাতকে সতর্ক করতে একটি ‘আগ্রাসী সচেতনামূলক প্রচারণা’ চালু করেছে।