আগের সপ্তাহেই দেশটির টেলিকম নীতিনির্ধারক কর্তৃপক্ষ ফেইসবুকের থাইল্যান্ড ইউনিটকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। এই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তার জন্য হুমকি বা কঠোর আইন ভঙ্গ করে এমন কন্টেন্টযুক্ত ১৩১টি ওয়েব অ্যাড্রেস বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। সময়ের মধ্যে কন্টেন্ট না সরালে দেশটিতে ফেইসবুক বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়।
সময় বেঁধে দেওয়া হলেও ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ থাই সরকারের অনুরোধ বিবেচনা করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তবে স্থানীয় আইন মেনে চলার কথা বলে জানিয়েছে তারা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিকে এশিয়ার মধ্যে ফেইসবুকের সবচেয়ে সক্রিয় দেশ বিবেচনা করা হয়, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। এবার এ দেশেই ফেইসবুকের ব্যবহার বন্ধ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
থাই ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (টিআইএসপিএ)-এর প্রেসিডেন্ট মরাকোট কুলথাময়োথিন বলেন, থাইল্যান্ডে আপাতত ফেইসবুক বন্ধের পরিকল্পনা নেই। ১৯টি ল্যান্ডলাইন এবং মোবাইল আইএসপি-সহ আন্তর্জাতিক মূল ইন্টারনেট গেটওয়ে ওপারেটরগুলো রয়েছে টিআইএসপিএ-এর আওতায়, যা দেশটির ৯০ শতাংশ ইন্টারনেট সেবা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
“আমরা এখনও ফেইসবুক বন্ধের উদ্যোগ নিতে আলোচনা করিনি,” বলেন মরাকোট।
ফেইসবুককে যে ১৩১টি সাইট সরাতে বলা হয়েছিল সেগুলো সরানো হয়েছে কিনা তা খোঁজ নিতে মঙ্গলবার টেলিকম কমিশনের মহাসচিব তাকরন ত্যানতাসিথ টিআইএসপিতে যান। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে দেশটিতে সেনা অভ্যূত্থানের পর থাইল্যান্ডে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ফেইসবুক। পরবর্তীতে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য যাতে ফাঁস না হয় সে কারণে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেই ফেইসবুক বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।