বুধবার লেনদেন শেষে স্ন্যাপ-এর প্রতি শেয়ারের মূল্য প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গিয়ে ২২.৯৮ ডলার হয়, বলা হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে।
চলতি বছর মার্চে শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য হয়েছে প্রায় ২৮০০ কোটি ডলার। শেয়ার ছাড়ার পর থেকেই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ আয় করতে পারবে বলে ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষকদের আশ্বস্ত করাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি, যদিও এ সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক স্ন্যাপ-এর বাজারে আগ্রাসীভাবে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
মার্চ-এর শেষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী স্ন্যাপ-এর মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অংকটা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে নিচে আর প্রতিষ্ঠানটির বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি আগের প্রান্তিকের ৪৮ শতাংশ থেকে নেমে ৩৬ শতাংশে এসে ঠেকেছে। থমসন রয়টার্স-এর বিশ্লেষণায় এ প্রান্তিকে স্ন্যাপ-এর আয় ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু স্ন্যাপ-এর আয় হয়েছে ১৫ কোটি ডলার।
শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরুর পর কর্মীদের দেওয়া ক্ষতিপূরণের কারণেই বেশি ক্ষতি হয়েছে।
স্ন্যাপ প্রধান নির্বাহী ইভান স্পিগেল ব্যবহারকারীদের অনেক বেশি পুশ নোটিফিকেশন পাঠানোর বিষয় নিয়ে বলেন, “দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে একটি সহজ উপায় কিন্তু আমরা মনে করি না এসব কৌশল দীর্ঘমেয়াদের জন্য টেকসই আর এটি আমাদের সঙ্গে গ্রাহকদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে।”
এক সময় স্ন্যাপচ্যাট-কে কিনতে তিনশ’ কোটি ডলারের প্রস্তাব দেওয়া ফেইসবুক ইতোমধ্যে তাদের অ্যাপগুলোতে স্ন্যাপচ্যাটের মতো ফিচার নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি সোশাল জায়ান্টটি জানায়, তাদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজ-এই এখন ২০ কোটি দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী আছে।
ফেইসবুক-এ স্ন্যাপচ্যাটের ফিচার নকল করা নিয়ে জবাব দিয়েছেন স্পিগেল। তার ভাষায়, “ইয়াহু’র একটি সার্চ বক্স আছে মানেই এই নয় যে এটি একে গুগল বানিয়ে দেবে।”