নিষিদ্ধ এলাকাগুলোতে ‘গোপন’ সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবসায় পরিচালনা করার অভিযোগ উঠার পর এমন নজরদারির মুখে পড়ল প্রতিষ্ঠানটি।
নিষিদ্ধ স্থানে উবারের সেবা বন্ধে কাজ করা কর্মকর্তাদের শনাক্ত করতে ‘গ্রেবল’ নামের এই সফটওয়্যার উবার-কে সহায়তা করে বলেই অভিযোগ উঠেছে। এই তদন্ত নিয়ে উবার-এর এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে।
গ্রেবল কয়েকটি এলাকায় ব্যবহার করা হয়। এই এলাকাগুলোর মধ্যে পোর্টল্যান্ড আর অরিগন-ও রয়েছে। এসব এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি এখনও তাদের সেবা পরিচালনার জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল, খবর- বিবিসি’র।
এই এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে উবার-এর সেবা পরিচালনা প্রমাণে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা যাত্রীবেশে নজরদারি চালায়। গ্রেবল ওই কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে ও উবার চালকদের কাছ থেকে রাইড বুক দেওয়া থেকে বিরত রাখে।
এ খবর প্রকাশের সপ্তাহে পোর্টল্যান্ড-এর যোগাযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে উবার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ‘অত্যন্ত অল্প পরিমাণে’ এই সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে, আর ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে অনুমতি পাওয়ার পর আর এটি ব্যবহার করেনি।
উবারের এহেন কর্মকাণ্ডের কথা সবার আগে চলতি বছর মার্চে প্রকাশ করে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস। সে সময় উবার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমাদের সেবার শর্ত লঙ্ঘনকারী প্রতারক ব্যবহারকারীদের যাত্রা অনুরোধ বাতিল করে এই প্রোগ্রাম।”
এ দিকে গুগল অধীনস্থ স্বচালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠা ওয়েইমো’র করা আরেক মামলায়ও লড়তে হচ্ছে উবারকে।