স্বদেশীয় স্যামসাং ইলেকট্রনিকস-এর পরেই বিশ্বে টেলিভিশন নির্মাতাদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এলজি, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। চলতি বছর জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এলজি’র লাভ ছিল ৯২২০০ কোটি ওন বা ৮১ কোটি ৬০ লাখ ডলার, অংকটা এক বছর আগের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৮২ শতাংশ বেশি।
প্রতিষ্ঠানটির আয় ৯.৭ শতাংশ বেড়ে ১৪.৭ ট্রিলিয়ন ওন হয়েছে। আয় আর লাভের এই বৃদ্ধিটা তাল রেখেছে প্রত্যাশ্যার সঙ্গেও।
এলজি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, “আগের প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয়ের ক্ষেত্রে আমরা উচ্চমানের একক সংখ্যার বৃদ্ধি আশা করছি।”
বিশ্লেষকদের মতে, মোটা অংকের লাভে উন্নত অ্যাপ্লায়েন্স আর টেলিভিশন পণ্য বিক্রি বাড়াতে প্রতিষ্ঠানটির চেষ্টার কারণে ২০১৭ সালে এলজি’র আয় বাড়তে পারে। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন জি৬ সমালোচকদের কাছে ভালোভাবেই গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় মোবাইল বিভাগে এর ক্ষতির অংকটা কমে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
অ্যাপ্লায়েন্স বিভাগ থেকে এলজি’র আয় ৫২১০০ কোটি ওন। ওয়াশার আর রেফ্রিজারেটরের মতো পণ্যগুলোর চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে এই লাভের অংকটাও। এই পণ্যগুলোতে ইন্টারনেট অফ থিংস-এর মতো নতুন ফিচারগুলো যোগ হওয়াকে লাভ বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছেন কয়েকজন বিশ্লেষক।
এদিকে, টেলিভিশন বিভাগ থেকে প্রতিষ্ঠানটির লাভ হয়েছে ৩৮২০০ কোটি ওন। আর মোবাইল বিভাগে প্রতিষ্ঠানটি ২০ কোটি ওন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।