৩ডি প্রিন্টিং কেন্দ্র খুলছে থাইসেনকার্প

চলতি বছরেই ৩ডি প্রিন্টিং কেন্দ্র খুলতে যাচ্ছে জার্মান শিল্প প্রতিষ্ঠান থাইসেনক্রুপ। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয় গ্রাহকের জন্য পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যেই এই কেন্দ্র খোলা হবে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2017, 11:18 AM
Updated : 26 April 2017, 11:18 AM

ইস্পাত, সাবমেরিন, লিফট উৎপাদনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী লাখো গ্রাহকের কাছে হাজারো ধাতব ও প্লাস্টিক পণ্য সরবরাহ করে থাকে থাইসেনক্রুপ। এবার ৩ডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে এয়ারলাইন বা উইন্ড টারবাইনের মতো যন্ত্রাংশগুলো প্রস্তুত করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

এই প্রযুক্তিতে ধাতব অংশ কাটার পরিবর্তে সরাসরি কম্পিউটার নকশা থেকে যন্ত্রাংশ প্রিন্ট করা হয়। বলা হচ্ছে, এতে সময় এবং খরচ দুটোই কম লাগে। আর এতে ক্ষুদ্র পরিসরেও পণ্য উৎপাদন সম্ভব। প্রথাগত ব্যবস্থায় ক্ষুদ্র পরিসরে পণ্য উৎপাদনে খরচ বেশি হয়ে থাকে।

নতুন কেন্দ্র খোলার ব্যাপারে থাইসেনক্রুপ ম্যাটেরিয়ালস সার্ভিস বিভাগের নির্বাহী বোর্ড সদস্য হ্যান্স-জোসেফ হস বলেন, “আমরা আমাদের নিজেদের ৩ডি প্রিন্টিং কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই মেশিন ও মানুষের ওপর বিনিয়োগ করেছি। সেগুলো ইতোমধ্যেই ফল দিচ্ছে।”

হস আরও বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রটি উন্মোচন করা হবে। আর এতে প্লাস্টিক এবং ধাতব উভয় ধরনের পণ্য উৎপাদন করা হবে।

শুধু থাইসেনকার্প নয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন ৩ডি প্রিন্টিংয়ে মনযোগী হচ্ছে। সোমবার মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেক্ট্রিক উল্লেখ করে, আগের বছর কেনা একটি জার্মান ৩ডি প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানে ১০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করছে তারা। মিউনিখে ৩ডি প্রিন্টিং কেন্দ্র খোলার কথা রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের।

৩ডি প্রিন্টিং প্রযুক্তিতে এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ তৈরিতে বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে জেনারেল ইলেক্ট্রিক। প্রতিষ্ঠানটি হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনের জন্য ৫০ শতাংশ যন্ত্রাংশ এ প্রযুক্তিতে তৈরি করছে। এতে যন্ত্রাংশের ওজন কমেছে ৬০ শতাংশ আর আনুষঙ্গিক খরচ কমেছে ৪০ শতাংশ।

ক্রমেই বাড়ছে এই প্রযুক্তির ব্যবহার। যেখানে ২০০৭ সালে ৩ডি প্রিন্টিংয়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি মার্কিন ডলার তা ২০১৫ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে বিক্রির পরিমাণ ২৬৫০ কোটি মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।