সম্প্রতি উন্মোচন করা স্মার্টফোনটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সব বাজারে আসেনি। এরই মধ্যে চীনে যেসব গ্রাহক ফোনটি হাতে পেয়েছেন তাদের মধ্যে কিছু গ্রাহক এটি নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন হুয়াওয়ে বিজনেস গ্রুপ প্রধান রিচার্ড ইউ। গ্লাস স্ক্রিন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, “হুয়াওয়ে পি১০ সিরিজে বিশ্বে প্রথমবারের মতো কর্নিং পঞ্চম প্রজন্মের গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে, এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা ৮০ শতাংশ কমে যায়।”
পি১০ ডিভাইসটিতে দুই ধরনের মেমোরি ব্যবহার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে এএমএমসি ৫.১ মডেলের মেমোরি যারা পেয়েছেন তাদের সিকুয়েনশিয়াল মেমোরি রিডিং গতি দেখা গেছে প্রতি সেকেন্ডে ২৫০ মেগাবাইট। আর যেসব ভাগ্যবান গ্রাহক ইউএফএস ২.০ বা ২.১ মডেলের মেমোরি পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই গতি বলা হচ্ছে ৫৫০ বা ৭৫০ মেগাবাইট।
ইউ বলেন, “আমাদের ফ্ল্যাশ স্টোরেজ-এর স্টক শেষ। এ কারণে ইএমএমসি ও ইউএফএস মেমোরি দুটোই ব্যবহার করা হয়েছে।” তবে, গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “ডিভাইসগুলোতে যেভাবে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে এতে ডিভাইসের কার্যক্ষমতায় কোনো প্রভাব পড়বে না।”
ইউ বলেন, “কুটিল প্রতিযোগীরা হুয়াওয়ে-কে দমন করতে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করছে।”
মেমোরিই পি১০-এর একমাত্র হতাশা নয়। এর আগে দেখা গেছে ডিভাইটির পর্দায় ওলিওফোবিক কোটিং ব্যবহার করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে পর্দায় সহজেই আঙ্গুলের ছাপ পরতে দেখা গেছে।
চলতি বছর সবচেয়ে উন্নত স্মার্টফোন ক্যামেরা হিসেবে ক্যামেরা সামগ্রী খাতের ‘অস্কার’ হিসেবে পরিচিত টিআইপিএ ইমেইজিং টেকনোলজি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে হুয়াওয়ে পি১০ আর পি১০ প্লাস, এ কথাও উল্লেখ করেছেন ইউ।