সিঙ্গাপুরে ‘ভার্চুয়াল শরবত’

‘আসল’ শরবতের মতো স্বাদ ও রংয়ের ভার্চুয়াল শরবত তৈরি করেছেন সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2017, 01:18 PM
Updated : 22 April 2017, 01:18 PM

রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাদ ও রং শরবতের মতো হলেও এটি আসলে শুধুই পানি। পানিতে শরবতের স্বাদ আনতে ইলেক্ট্রোড আর রংয়ের জন্য এলইডি বাতি ব্যবহার করেছেন গবেষক দল।

নতুন এই প্রযুক্তিতে একদিন গ্রাহক ইন্টারনেটের মাধ্যমে পানীয় শেয়ার করতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গবেষক দলের প্রধান নিমেশা রানাসিংগে বলেন, “আমদের বর্তমান ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থায় খাদ্য ও পানীয় আদান প্রদানের ব্যবস্থা নেই যা আমদের প্রাত্যহিক জীবনে খুবই সাধারণ ব্যাপার, প্রাথমিকভাবে এর থেকেই আমাদের অনুপ্রেরণা আসে।”

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর এবং জাপানের কেইও ইউনিভার্সিটি’র সহযোগিতায় এনইউএস-কেইও সিইউটিই সেন্টারে এ গবেষণা চালানো হয়। ধারণা প্রমাণ করার জন্য আপাতত শরবতের টক স্বাদকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

এই প্রযুক্তিতে আসল শরবতের মধ্যে একটি সেন্সর ডুবানো হয়। সেন্সরটি শরবতের অম্লতা এবং রঙের তথ্য ধারণ করে ব্লুটুথের মাধ্যমে ভার্চুয়াল শরবত গ্লাসের রিমে লাগানো ইলেক্ট্রোড স্ট্রাইপে প্রেরণ করে।

আপাতত টক স্বাদকে বেছে নেওয়া হলেও এই প্রযুক্তিতে তিক্ত এবং নোনা স্বাদও আনা সম্ভব বলে জানান রানাসিংগে। যেসব ব্যক্তি ক্যালরি বা লবণাক্ততা কমাতে আহার নিয়ন্ত্রণ করছেন তাদের জন্য এটি সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।

“কারও যদি শরবতের প্রতি আগ্রহ থাকে এবং তার কাছে ভার্চুয়াল শরবত থাকে তবে তিনি কোনো ক্যালরি গ্রহণ করা ছাড়াই একই রকমের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।”

ভার্চুয়াল এই শরবত পরীক্ষা করে জেনেভিভ লো নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “এখনও এতে কিছু উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে”।

আর এটি পরীক্ষা করে এর স্বাদ নিয়ে আশ্চর্য হয়েছেন ওয়াং প্যান নামের আরেক শিক্ষার্থী।

“আমি ইলেক্ট্রনিক স্বাদ নিয়ে আশ্চর্য হয়েছি, কিন্তু এটি আসলে আমার কাছে অনেকটাই বাস্তব কারণ এটি আসলে হালকা, হালকা মিষ্টির মতো। আসল শরবতের তুলনায় এটি কম টক।”