প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা ‘সাইলেন্ট স্পিচ বা নিরব উক্তি’ সফটওয়্যার বানাচ্ছে। এই সফটওয়্যার মানুষকে প্রতি মিনিটে একশ’ শব্দের গতিতে টাইপ করার সুযোগ দেবে। এখনও শুরুর পর্যায়ে থাকা এই প্রকল্পে কোনো সার্জারি ছাড়াই ব্রেইনওয়েভ শনাক্ত করতে নতুন প্রযুক্তি দরকার হবে, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
ফেইসবুকের বিল্ডিং ৮-এর প্রকৌশল বিষয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেজিনা ডুগান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা আপনার বিভিন্ন চিন্তা ডিকোডের কথা বলছি না। আপনার অনেক ধরনের ভাবনা থাকতে পারে, আপনি তার মধ্যে কিছু শেয়ার করতে বাছাই করেন। আমরা ওই কথাগুলো ডিকোডের বিষয়টি ভাবছি। একটি নিরব উক্তির ইন্টারফেইস- যার সঙ্গে থাকবে গতি আর কণ্ঠের নমনীয়তা।”
এই লক্ষ্যপূরণে হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ফেইসবুক। এ জন্য এই প্রকল্পে কাজ করতে প্রতিষ্ঠানটি ৬০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী আর গবেষকের একটি দল গঠন করেছে।
“সমস্যা হচ্ছে বিশ্বে তথ্য পেতে আমরা সবচেয়ে ভালো যে উপায় অবলম্বন করতে পারি- তা হচ্ছে উক্তি- যা শুধুই ১৯৮০ সালের একটি মডেমের সম পরিমাণ ডেটা পাঠাতে পারে। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছি যা আপনাকে সরাসরি আপনার মস্তিষ্ক থেকে টাইপ করতে দেবে, আর তা হবে আজ আপনার ফোনে যেভাবে টাইপ করছেন তার থেকে পাঁচগুণ দ্রুত।”
“ক্রমান্বয়ে, আমরা একে একটি পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিতে পরিণত করতে চাই যা উৎপাদন করা হতে পারে। এমনকি একটি সাধারণ হ্যাঁ বা না বোঝানোর ‘ব্রেইন ক্লিক’ও অগমেন্টেড রিয়ালিটিকে আরও বাস্তবিক লাগানোর মতো বিষয়গুলোতে সহায়তা করতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পুরো সত্যিকার ভাবনা বা অনুভূতি শেয়ার করতে পারার আগে প্রযুক্তি আরও অনেক উন্নত হতে হবে, কিন্তু এটি হচ্ছে প্রথম ধাপ।”
ডুগান বলেন, “একদিন, তা খুব বেশি দূরে নয়, হয়তো আমার জন্য ম্যান্ডারিনে ভাবাও সহজ হবে, আর তাৎক্ষণিকভাবে আপনি তা স্প্যানিশে বুঝতে পারবেন।”
বর্তমানে প্রযুক্তিতে মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে হলে মস্তিষ্কে কম্পিউটার চিপ স্থাপন করতে হবে। ইতোমধ্যে বর্তমান বাজারে বাহির থেকে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি রয়েছে, কিন্তু তুলনামূলকভাবে এগুলো অনেক সরল।
এক বিবৃতিতে ফেইসবুক-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমাদের নতুন, ক্ষতিকর নয় এমন সেন্সর দরকার হবে যা প্রতি সেকেন্ডে কয়েকশ’ বার আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম ধরতে পারবে।”