রেকর্ড লাভের দিকে স্যামসাং  

চিপ বিভাগে রেকর্ড পরিমাণ আয়ের কারণে নিজেদের প্রথম প্রান্তিকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লাভের মুখ দেখতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরীয় ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং। এর পরের প্রান্তিক প্রতিষ্ঠানটির আসন্ন স্মার্টফোন স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৮-এর বদৌলতে আরও ভালো হতে পারে, বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2017, 02:07 PM
Updated : 5 April 2017, 02:07 PM

২০১৬ সালে গ্যালাক্সি নোট ৭ স্মার্টফোন নিয়ে ব্যর্থ হওয়া, প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান জেয় ইয়ং লি-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ- এসব নিয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছে না স্যামসাংয়ের। স্মার্টফোন আর সার্ভারের জন্য মেমোরি চিপের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে যাওয়া এসব ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে স্যামসাংকে সহায়তা করছে।

বাজারমূল্যের দিক থেকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের শেয়ার মূল্য চলতি বছর ১৭ শতাংশ বাড়ার পর এখন প্রায় রেকর্ড সর্বোচ্চ মূল্যের কাছাকাছি, বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

১৮ জন বিশ্লেষককে নিয়ে রয়টার্স-এর এক জরিপে পাওয়া গড় হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের ব্যবসায় পরিচালনা থেকে হওয়া লাভ এক বছর আগের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেড়ে ৯.৪ ট্রিলিয়ন ওন বা ৮৪৪ কোটি ডলার হয়েছে। এর মধ্যে চিপ বিভাগ থেকেই এসেছে রেকর্ড ৫.৮ ট্রিলিয়ন ওন। এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে ভালো করা ২০১৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ১০.২ ট্রিলিয়ন ওন লাভের পর এটি প্রতিষ্ঠানটির কোনো প্রান্তিকে সর্বোচ্চ লাভ।  

চলতি বছর ২১ এপ্রিল গ্যালাক্সি এস৮ বিক্রি শুরু করতে প্রস্তুত স্যামসাং। সে বিষয় মাথায় রেখে রয়টার্স-এর ওই জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্যামসাং ১১.৯ ট্রিলিয়ন ওন লাভ করতে পারে।  

স্যামসাংয়ের শেয়ারধারী প্রতিষ্ঠান এইচডিসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট-এর তহবিল ব্যাবস্থাপক পার্ক জুং-হুন বলেন, “এখন স্যামসাংয়ের জন্য এটি শুধুই যত পাওয়া যায় তত ভালো।”

মেমোরি চিপ ব্যবসায়ের এই অবস্থা এ বছরের পুরো সময় ধরে অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষত দীর্ঘমেয়াদী ডেটা স্টোরেজের জন্য ব্যবহৃত এনএএনডি ফ্ল্যাশ চিপ স্যামসাংয়ের লাভে বেশি অবদান রাখছে।   

২০১৬ সালে অক্টোবরে বিস্ফোরণ আর অগ্নিঝুঁকির কারণে গ্যালাক্সি নোট ৭-কে বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পর, সে বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে স্মার্টফোন বাজারের মুকুটটা আর ধরে রাখতে পারেনি স্যামসাং, এ মুকুটের দখল চলে যায় প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের হাতে।