ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ নিয়ে প্রথমে খবর প্রকাশ করে আর পরে মাস্ক নিজেও এক টুইটের মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। মাস্ক জানান, প্রতিষ্ঠানটি খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আর ‘চিকিৎসা গবেষণা’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত ছিল।
এই প্রতিষ্ঠান কথিত ‘নিউরাল লেইস’ নামের প্রযুক্তি বানাতে কাজ করবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কে ক্ষুদ্র ইলেকট্রোড স্থাপন করা হবে। মানুষের স্মৃতি উন্নত করতে বা মানবমস্তিষ্কের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে।
মার্কিন দৈনিকটির সূত্রমতে, এই খাতের শীর্ষস্থানীয় গবেষকরা এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠান মাস্ক-এর ব্যক্তিগত অর্থে পরিচালিত হবে।
এই খাতের বিশেষজ্ঞরা এখন এমন সময়ের স্বপ্ন দেখেন যখন মানুষ চিন্তা ‘আপলোড’ ও ‘ডাউননলোড’ করতে সক্ষম হবে।
মাস্ক-কে সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে স্বপ্নদর্শী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ধরা হয়, সেই সঙ্গে ব্যস্ততমদের মধ্যেও একজন। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা, সৌরশক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সোলারসিটি, যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হাইপারলুপ প্রকল্প, লস অ্যাঞ্জেলস-এ জ্যামের বিরক্তি কাটাতে মাটির নিচে সুড়ঙ্গ তৈরির সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর অস্ট্রেলিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে নতুন এক প্রকল্প- এমন সব প্রকল্প আর প্রতিষ্ঠান পরিচালনা নিয়েই আছেন তিনি।
নিউরালিঙ্ক নিয়ে করা টুইটে তিনি বলেন, “এ নিয়ে সময় নির্ধারণ করে দেওয়াটা কঠিন।”