ফ্লাইটে ইলেকট্রনিক্সে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে

মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশের বিমানবন্দর থেকে আসা যাত্রীদের বিমানের কেবিনে মোবাইল থেকে বড় আকারের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনে  যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে শুরু করেছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2017, 11:15 AM
Updated : 26 March 2017, 11:15 AM

টার্কি, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার কিছু দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে আসা ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়, জানিয়েছে বিবিসি।

আগের সপ্তাহেই ফ্লাইটের মূল কেবিনে মোবাইল ফোনের চেয়ে বড় আকারের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশ দু’টি।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ওই সব বিমানবন্দর থেকে আসা যাত্রীরা ট্যাবলেট, পোর্টেবল ডিভিডি প্লেয়ার, ল্যাপটপ, আইপ্যাড ও ক্যামেরার মতো বড় আকারের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বিমানের মূল কেবিনে আনতে পারবেন না। সেগুলো ‘চেকড ব্যাগেজে’ দিতে হবে।

একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র এক মুখপাত্র বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশ থেকে আসা ফ্লাইটের মূল কেবিনে ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ন্ত্রিত হবে।

আটটি দেশের নয়টি এয়ারলাইন্সে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় প্রভাব পরবে। টার্কি, মরোক্কো, জর্ডান, ইজিপ্ট, ইউনাইটেড অ্যারাব এমিরেটস, কাতার, সাউদি অ্যারাবিয়া এবং কুয়েত এয়ারলাইন্স এর আওতায় রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি ফ্লাইট যায় প্রতিষ্ঠানগুলোর।

নিষেধাজ্ঞার পর এয়ারপোর্টের গেইটে যাত্রীদের মালামাল প্যাকিং এবং সরবরাহ সেবা চালু করেছে ইউএই এমিরিটেস এয়ারলাইন। এতে একবার চেক করা হলে হয়ে গেলে যাত্রীরা ফ্লাইট থেকে নামা পর্যন্ত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন।

যুক্তরাজ্য বলছে, টার্কি, লেবানন, জর্ডান, মিশর, তিউনিসিয়া ও সৌদি আরব থেকে সরাসরি ফ্লাইটের মূল কেবিনে স্মার্টফোনের চেয়ে বড় ডিভাইস বহন করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যে নিষধাজ্ঞায় বলা হয়েছে স্মার্টফোনসহ, লম্বায় ১৬ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ৯.৩ সেন্টিমিটারের বেশি এমন ডিভাইসের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। যদিও বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ স্মার্টফোনই এর চেয়ে ছোট আকারের।

নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন বিষয়ক এক কর্মকর্তা বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে দেখা গেছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিমান পরিবহন খাতে হামলা চালানোর চেষ্টা খুব বেড়ে গেছে।”

এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের এমন নিষেধাজ্ঞায় এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে এতে এয়ারলাইনগুলোর লাভের ওপর প্রভাব পড়বে। আর তাদের যাত্রীর সংখ্যা কমে যেতে পারে।