অ্যাপলের তিন নতুন স্টোর চালু

নিজেদের সব স্টোরে খুচরা বিক্রয় দল নতুন করে সাজাচ্ছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। চীন, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে নতুন তিনটি স্টোর চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2017, 10:58 AM
Updated : 26 March 2017, 10:58 AM

চীনের ন্যানজিং, জার্মানির কলোগনে আর যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে স্টোরগুলোর উদ্বোধনের দিনে কয়েক হাজার গ্রাহককে অ্যাপলের সাড়ে তিনশ’রও বেশি কর্মী স্বাগত জানায়, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।

শনিবার এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “প্রতিটি দোকান স্থানীয় স্থাপত্যকে তুলে ধরেছে, স্কিলডারগাসে-এর স্টোরে পুনরায় সাজানো সদর সরজা থেকে শুরু করে অ্যাপল ন্যানজিংয়ের ৯০-বাই-৩০ ফুট কাচের প্রবেশপথ পর্যন্ত।”  

এই প্রথমবারের মতো প্রতিটি শহরে গ্রাহকরা ‘ফোরাম’ ব্যবহার করতে পারবেন। ‘ফোরাম’ হচ্ছে স্থানীয় সম্প্রদায়ের একসঙ্গে হওয়ার ও বিভিন্ন বিষয়ে জানার জায়গা। এই সবগুলো স্টোরেই বোর্ডরুম রাখা হয়েছে। এই বোর্ডরুম হচ্ছে স্থানীয় উদ্যোক্তা, ডেভেলপার আর ব্যবসায় গ্রাহকদের জন্য, যাতে তারা হাতে হাতে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।

চলতি বছর ১২ মার্চ অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সেন্ট জনস টাউন সেন্টার-এ তাদের স্টোর নতুন করে চালু করে। এটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ নকশায় সাজানো ৩৫তম দোকান। 

২০০১ সালের ১৫ মে অ্যাপল ভার্জিনিয়ায় টাইসনস কর্নার মল-এ তাদের প্রথম স্টোর চালু করে।

এদিকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নবনির্মিত অ্যাপলের ক্যাম্পাস সামনের এপ্রিলে কর্মচারীদের জন্য খোলা হবে। ১৭৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত নতুন এই ক্যাম্পাসে প্রায় ১২ হাজারের অধিক কর্মীকে স্থানান্তর করতে ছয় মাসেরও বেশি সময় লেগে যাবে।

গোলাকার এই স্থাপনাকে অ্যাপল নাম দিয়েছে ‘অ্যাপল পার্ক’। নির্মিত হওয়ার নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কয়েক মাস পিছিয়ে রয়েছে এটি, জানান এর সাবেক নির্মাণ পরিচালক। দেরির পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক সাবেক নির্মাণ ব্যবস্থাপক উদাহরণ দিয়ে বলেন, শুধু একটি দরজার হাতলের নকশা করতেই দেড় বছরের বেশি সময় লেগেছে। মূল ভবন এবং পার্শ্ববর্তী উদ্যানের নির্মাণকাজ গ্রীষ্মকালেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।