পাকিস্তানের অনুরোধে দেশটিতে একটি দল পাঠাতে রাজী হয়েছে ফেইসবুক। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় কন্টেন্টের ওপর পাকিস্তানের যে সীমাবদ্ধতা আছে তা জানবে দলটি।
অধার্মিক আচরণকে পাকিস্তানে খুবই স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে অধার্মিক আচরণের জন্য দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মনিন্দা বন্ধে তার সমর্থনের কথা জানান। তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে হতে এক টুইটে তিনি জানান, ধর্মনিন্দা একটি “ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।”
প্রধানমন্ত্রীর এমন সমর্থনের পর বৃহস্পতিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী চাউধ্রি নিসার বিষয়টি থামাতে উদ্যোগ নেন। তিনি জানান পাকিস্তানের বার্তা বাইরে পৌছানোর জন্য তিনি “যে কোনো উদ্যোগ” নেবেন।
নিসার আরও জানান, মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর সঙ্গে কর্মকর্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
“ফেইসবুক এবং অন্যান্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত যারা অধার্মিক কথাবার্তা ছড়ায় তাদের সকল তথ্য আমাদের সঙ্গে শেয়ার করা,” বলেন নিসার।
সম্প্রতি দেশটিতে পাঁচজন মুক্তমনা ব্লগার এবং চরমপন্থী গায়েব হন। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ধর্মনিন্দা প্রচারের অভিযোগ রয়েছে বলে জানানো হয়।