শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল ডেভিড পার্কিন্স নিজেই। পরীক্ষার জন্য ২০০ মার্কিন ডলারের মূল্যের ড্রোনটি বিধ্বস্ত করতে এই মিসাইল ব্যবহার করে মার্কিন সেনাবাহিনী, জানিয়েছে বিবিসি।
জেনারেল পার্কিন্স বলেন, “অ্যামাজন ডটকমের ২০০ মার্কিন ডলারের কোয়াডকপ্টারটির প্যাট্রিয়ট-এর সামনে আসার কোনো সুযোগই নেই।”
নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত করতে রেডার ব্যহার করা হয় প্যাট্রিয়ট মিসাইলে। সাধারণত শত্রুদের উডুক্কুযান ধ্বংস করতেই এটি ব্যবহার করে থাকে। প্রতিটি মিসাইলের মূল্য ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
সম্প্রতি বেশ কিছু প্রতিবেদনে দেখা গেছে ক্ষুদ্র বাণিজ্যিক ড্রোনে অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। বিবিসির প্রতিবেদনে ইরাকের উদাহরণ দিয়ে বলা হয় তারা এসব ছোট ড্রোনে অস্ত্র যোগ করে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
ড্রোনের মাধ্যমে এমন বিপত্তি এড়াতেই মিসাইল পরীক্ষা করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। “এখন তারা জানে এটি কাজ করে এবং আমরা প্যাট্রিয়ট মিসাইল ভালোবাসি,” বলেন জেনারেল পার্কিন্স।
জেনারেল এটিও স্বীকার করেন যে, ড্রোন আটকাতে বড় আকারের মিসাইলের ব্যবহার হয়তো আর্থিক দিক থেকে বিচক্ষণ কাজ নয়।
শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেগে ছুটতে পারে প্যাট্রিয়ট মিসাইল। সেখানে কোয়াডকপ্টারের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার।