বিদ্যুৎ সমস্যা ‘শতদিনেই ঠিক’, বিফলে ‘মূল্যফেরত’

শতদিনের মধ্যে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শক্তি সমস্যা ঠিক করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রকৌশলী ও ধনকুবের ইলন মাস্ক। যদি এই সময়ের মধ্যে এটি করতে না পারেন তবে তা বিনামূল্যে করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2017, 10:36 AM
Updated : 10 March 2017, 10:36 AM

অস্ট্রেলিয়ার ওই অঞ্চলে ঝড়ের কারণে কয়েকটি ‘ব্ল্যাকআউট’-এর ঘটনা ঘটে। অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সেখানকারকার স্থানীয় শক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, এমন অবস্থায় মাস্ক এ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ সিএনবিসি।

ইলন মাস্ক দুই খালাত ভাই লাইনডন রাইভ আর পিটার রাইভ-এর সঙ্গে শক্তি সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান সোলারসিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে সোলারসিটি মাস্ক-এর আরেক প্রতিষ্ঠান টেসলা’র সঙ্গে একীভূত হয়।

অস্ট্রেলীয় সংবাদ সাইট এএফআর-কে লাইনডন রাইভ জানান, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার শক্তি ঘাটতি ও ব্ল্যাকআউট ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানটি ঘণ্টায় একশ’ থেকে তিনশ’ মেগাওয়াট ব্যাটারি স্টোরেজ স্থাপন করতে পারবে। এই কাজ একশ’ দিনের মধ্যেই করা যাবে বলে জানান তিনি।

এরপর মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাটলাসিয়ান-এর অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠাতা মাইক ক্যানন-ব্রুকস টুইটারে মাস্ক-কে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কী এ বিষয়ে সত্যিই প্রতিশ্রুতিশীল কি না, এর বিপরীতে ইতিবাচক জবাব দেন মাস্ক। এরপর ওই অঞ্চলের একজন সিনেটর সারাহ হ্যানসন-ইয়ং মাস্ক-এর সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

রাইভ জানান, ওই অঞ্চলের যদি দরকার হয়, তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি প্রস্তুত করা হবে। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় নিজ প্রতিষ্ঠানের গিগাফ্যাক্টরি-তে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ক্যানন-ব্রুকস মাস্ক-কে এই প্রকল্পের “নীতিমালা ও তহবিল” সম্পর্কে জানাতে সাতদিন সময় দেন ও এর খরচ সম্পর্কে জানাতে অনুরোধ করেন। জবাবে মাস্ক জানান, ঘণ্টায় একশ’ মেগাওয়াট-এর বেশি ক্ষমতার ব্যবস্থায় প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় আড়াইশ’ ডলার করে খরচ হবে। এ ক্ষেত্রে চালান, ট্যারিফ আর স্থাপনের মতো বাড়তি খরচগুলো দেশভেদে ভিন্ন হয় আর এগুলো তাদের ‘নিয়ন্ত্রণে নেই’ বলে জানান তিনি।