১ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ-এর মাধ্যমে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের এক কোটি মায়ের অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা প্রদানের এ কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, রংপুরের পীরগঞ্জ ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার সুবিধাভোগী মায়েদের নিকট মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ করা হয় বলে জানিয়েছে শিওরক্যাশ কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রূপালী ব্যাংক শিওরক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম চালুর মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।”
“মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার কারণে উপবৃত্তি ব্যবস্থাপনা আরও সহজ, দক্ষ এবং স্বচ্ছ হবে।”
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি উপজেলার সুবিধাভোগী মায়েদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আজ থেকে এক কোটি মা ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন তাদের সন্তানদের উপবৃত্তির টাকা।”
“মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা প্রেরণের এই ডিজিটাল পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হচ্ছে- এতে ত্রুটি, বিচ্যুতি বা অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। টাকা বিতরণে কোনো অস্বচ্ছতা নেই।”
শিওরক্যাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহাদাত খান বলেন, “শিওরক্যাশ পেমেন্ট সিস্টেমে ব্যবহৃত সকল সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশে প্রস্তুত। এই দেশের তরুণ-তরুণীরা তৈরী করেছে বিশ্বমানের সফটওয়্যার।”
এ কার্যক্রমে ডেটাবেইসের সাহায্যে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হিসাব খোলা হয়েছে মায়েদের মোবাইল নম্বর দিয়ে। তাই মায়েদের মোবাইল নম্বরেই উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত পুরো টাকাই পাবেন মায়েরা। পরবর্তীতে সুবিধামত সময়ে নিকটস্থ এজেন্টের কাছ থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন বা এই টাকা দিয়ে বিভিন্ন লেনদেন করতে পারবেন। টাকা তোলার সময়ও কোনো ধরনের চার্জ কাটা হবে না।
এই কার্যক্রমে সহায়তা করতে যে মায়েদের সিম নেই, তাদের বিনামূল্যে সিমকার্ড বিতরণ করছে টেলিটক।