শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কিউবান বলেন, “আমি মনে করি অ্যামাজন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্টার্টআপ ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান।” এক্ষেত্রে নতুন নতুন খাতে অ্যামাজনের বিনিয়োগের আগ্রহ আর প্রযুক্তি নিয়ে চালানো পরীক্ষার দিকে ইংগিত করেছেন কিউবান, জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার। তার ধারণা মতে, অ্যামাজন ক্রমান্বয়ে বিশ্বের সব ব্যবসায় দখল বসাচ্ছে, শুধু তাদের খুচরা বিক্রির দোকান দিয়েই নয় সেই সঙ্গে “স্মার্ট, স্মার্ট প্রতিষ্ঠান” যোগ করে।
“আমি তাদেরকে উবার-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে দেখি”, বলেন এই মার্কিন ধনকুবের।
এ ক্ষেত্রে কিউবান-এর যুক্তি হচ্ছে- অ্যামাজন বিভিন্ন নতুন প্রকল্পে গোপনে বিনিয়োগ করতে ‘বিখ্যাত’। অনলাইন বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। ধীরে ধীরে টুথপেস্ট থেকে শুরু করে জিন্স বিক্রি, ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ব্যবসায় আর ফাইল স্টোরেজ অ্যাপ ব্যবসায় মিলিয়ে বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে অ্যামাজন।
এরইমধ্যে অ্যামাজন নিজেদের নতুন এক দোকান চালু করে যেখানে অর্থ পরিশোধের কোনো কাউন্টার নেই। উন্নত প্রযুক্তির এই স্টোরে ঢুকে শুধু পছন্দের পণ্য নিয়ে নিলেই হবে। এজন্য কোনো চেকইন বা সারিবদ্ধ হয়ে মূল্য পরিশোধের প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে গ্রাহক কী পণ্য নিচ্ছেন সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা হবে এবং সেই মোতাবেক তার অ্যাকাউন্ট থেকে মূল্য কেটে নেওয়া হবে।