হাজত থেকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্যামসাং প্রধান’

এক রাত হজতে কাটানোর পর শনিবার আবারও স্যামসাং প্রধান লি জি ইয়ংকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিশেষ সরকারি কৌশুলির দপ্তরে নিয়েছে দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ।

রয়টার্স জানায়, শুক্রবার দুর্নীতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই যে কেলেঙ্কারিতে অভিশংসনের শিকার হয়েছিলেন তার সঙ্গে জি ইয়ংয়ের মামলার সম্পর্ক রয়েছে।

স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইয়ের বান্ধবী চোই সুন সিল পরিচালিত ফাউন্ডেশনগুলোতে অনুদান দেওয়ার অভিযোগ আছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জি ইয়ং ও তার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

স্যামসাংয়ের কর্ণধার লি কুন হি’র ছেলে এবং প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা লি জি ইয়ং কে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জানুয়ারিতে। তবে তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

আগের সপ্তাহের শুরুর দিকে তাকে দ্বিতীয়বারের মত জেরা করা হয়। শুক্রবার আদালত নতুন অপরাধের অভিযোগ এবং নতুন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জি ইয়ংকে গ্রেপ্তার করা জরুরি বলে মত দেয়।

শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে হাতকড়াসহ সাদা দড়ি বেঁধে বিশেষ সরকারি কৌশুলির দপ্তরে আনা হয় লি-কে। এর আগে রাতে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে ছোট হাজত কক্ষে রাখা হয়েছিল তাকে।

শুক্রবার রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবি লি কিউ-চুল মামলার বিষয়ে বিস্তারিত না জানিয়ে বলেন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তথ্য পেতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।

২০১৪ সালে স্যামসাং চেয়ারম্যান লি কুন হি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কার্যত অবসরে যাওয়ার পর পুরো স্যামসাং গ্রুপ এখন পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যচ্ছে। এই পুনর্গঠনের লক্ষ হল চেয়ারম্যানের ছেলে জি ইয়ংয়ের পথ পরিষ্কার করা যাতে তিনি প্রতিষ্ঠানের হাল ধরতে পারেন। জি ইয়ং বর্তমানে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ভাইস চেয়ারম্যান হলেও বাবার অবর্তমানে তিনিই স্যামসাং গ্রুপের প্রধান হিসাবে বিবেচিত। তার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদে কোনও সমস্যায় না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।