সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় গবেষকরা জানান, শূন্য আর এক ব্যবহার করা প্রচলিত কম্পিউটার ব্যবস্থাই শুধু নয়, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংও হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে লঙ্ঘনযোগ্য।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ অটোয়া-এর গবেষক এব্রাহিম কারিমি বলেন, “আমাদের গবেষক দল এই প্রথম একটি উচ্চমাত্রার কোয়ান্টাম ক্লোনিং মেশিন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে,যা কোনো সুরক্ষিত কোয়ান্টাম বার্তায় হস্তক্ষেপ করতে কোয়ান্টাম হ্যাকিং চালাতে সক্ষম হবে।” তিনি আরও বলেন, “যখন আমারা আমাদের গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণায় সমর্থ হই, আমরা সম্ভাব্য হ্যাকিং ঝুঁকির বিরুদ্ধে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নেটওয়ার্ক রক্ষায় সহায়তা করতে কিছু তথ্য খুঁজে পাই।”
এখন পর্যন্ত কোয়ান্টাম সিস্টেমই যথাযথ নিরাপদভাবে তথ্য সরবরাহ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কারণ এই সিস্টেমে পাঠানো তথ্য কপি করার চেষ্টা করলেই মূল তথ্য বিকৃত হয়ে যায় বা ভিন্ন আচরণ করে।
কারিমির দল মূলত তথ্য সরবাহকারী ফোটন-এর ক্লোন করে এবং সেখান থেকেই হ্যাকিং রোধের উপায় বের করে।
একই বিশ্ববিদ্যালের ডক্টোরাল শিক্ষার্থী ফ্রেডরিক বোওচার্ড বলেন, “আমরা যা দেখেছি তা হচ্ছে, যখনই অনেক বড় পরিমাণের কোয়ান্টাম তথ্যকে একটি ফোটনে এনকোড করা হয়, তখন কপিগুলো আরও বাজে হয়ে যায় ও হ্যাকিং শনাক্তকরণ আরও সহজ হয়ে যায়।”
এই গবেষণার ফলাফল কোয়ান্টাম যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভবিষ্যৎ গবেষণাগুলোতে ব্যবহৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন গবেষকরা।