হিসাব নির্ণয় সম্পর্কিত কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে এই জরিমানা গুণতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ২০১৪ সালে গাড়ির ইগনিশন সুইচ (গাড়ির প্রধান ইঞ্জিন চালু করার সুইচ)-এর ত্রুটি থাকার কারণে ১২৪ জনের মৃত্যু ও ২৭৫ জন আহত হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি বাজার থেকে তাদের নির্মিত গাড়িগুলো তুলে নেয়।
এসইসি জানায়, অর্থ পরিশোধের এই চুক্তি ওই ত্রুটির ফলে সম্ভাব্য আর্থিক প্রভাব নির্ণয়ে জেনারেল মোটর্স-এর সব দায় সমাধান করবে।
জেনারেল মোট্স এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এসইসি-এর আদেশ মেনে নেবে, আর তা কোনো ভুল কার্যক্রম-এর স্বীকার বা অস্বীকার ছাড়াই। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, “এসইসি-এর করা নিষ্পত্তি জিএম (জেনারেল মোটরস)-এর কোনো আর্থিক বিবৃতি প্রকাশকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে না।”
সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন জানায়, জিএম-এর ত্রুটিযুক্ত ইগনিশন সুইচ সম্পর্কিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত হিসাবরক্ষকদের আওতায় আনা হয়নি, যদিও অন্যান্য জিএম কর্মী ২০১২ সালের শুরুর দিকেই বুঝতে পেরেছিলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাদের আওতায় আছে।
এসইসি-এর নিউ ইয়র্ক আঞ্চলিক কার্যালয় পরিচালক অ্যান্ড্রু এম ক্যালামারি বলেন, “যানবাহন ফিরিয়ে নেওয়ার হিসাব প্রকাশ বিবেচনা করলে জিএম-এর অভ্যন্তরীণ হিসাব ব্যবস্থা প্রাসঙ্গিক হিসাব নির্দেশনা বিবেচনায় ব্যর্থ হয়েছে।”