ব্যাটারিতেই সমস্যা ‘নোট ৭’-এর

গ্যালাক্সি নোট ৭-এ আগুন লাগার কারণ হিসেবে ব্যাটারির ত্রুটিই বের করেছে দক্ষিণ কোরীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

সোমবার বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তি রয়টার্স-কে জানিয়েছেন, ডিভাইসটিতে আগুন লাগার মূল কারণ ছিল এর ব্যাটারি।

এর আগে বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন নোট ৭-এর এই বিপর্যের পর আস্থা ফেরানোর মতো কারণ এবং বিস্তারিত বিবরণ বের করা স্যামসাংয়ের জন্য জটিল হবে। প্রতিষ্ঠানাটর জন্য গ্রাহকের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনাও কষ্টকর হবে বলে ধারণা করা  হয়।

শীঘ্রই প্রতিষ্ঠানের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস গ্যালাক্সি এস ৮ উন্মোচন করবে স্যামসাং। আর তাই এই উন্মোচনকে সামনে রেখে নোট ৭-বিপর্যয়ের কারণ বের করাটা জরুরি ছিল।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসি-এর বিশ্লেষক ব্রায়ান মা বলেন, “তাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে ফিরে আসছে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে একই ঘটনা আবার ঘটবে না।”

২৩ জানুয়ারি তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এর পরদিনই আগের বছর চতুর্থ প্রান্তিকের আয়েরহিসাব প্রকাশ করবে স্যামস্যাং, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে রয়টার্স।

আগের বছর ২ অগাস্ট উন্মোচন আর ১৯ অগাস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া নোট ৭ ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ডসেট নিয়ে শুরু থেকেই নানা বিপত্তির মুখে পড়ে স্যামসাং। বাজারে আসার পর নতুন সব ফিচার দিয়ে আলোচক- সমালোচকদের আলোচনা গরম করার আগেই চলে আসে এই স্মার্টফোন ব্যাটারি থেকে আগুন লাগা আর বিস্ফোরণের অভিযোগ। অভিযোগের সংখ্যা যখন বাড়ছে তখন চীন ছাড়া সারা বিশ্বে বাজারে আসে ২৫ লাখ নোট ৭ ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

গ্রাহকদের নানা আশ্বাস দিয়ে আগের নোট ৭ হ্যান্ডসেটগুলো বদলে বাজারে "পুরোপুরি নিরাপদ" নোট ৭-এর চালান দেয় স্যামসাং। সেই বদলে দেওয়া এই হ্যান্ডসেটেও দেখা যায় একই বিপত্তি। এক পর্যায়ে উৎপাদন স্থগিত করার ঘোষণা দেয় স্যামসাং। শেষে নোট ৭ চিরতরে বাজার থেকে উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

আগের বছর অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় ফোনটির সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যারসহ সকল অংশ তদন্ত করে দেখবে তারা।