জন্মগত ত্রুটিতে জিকা ভাইরাস ‘সম্পৃক্ত’

মাইক্রিসেফালি আর স্নায়বিক সমস্যা যেমন- গাইলিয়ান-বারি সিনড্রোমের মতো জন্মগত অন্যান্য ত্রুটি জিকা ভাইরাসের সাত প্রোটিন সৃষ্টির জন্য দায়ী বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2017, 11:54 AM
Updated : 4 Jan 2017, 01:00 PM

“জিকা ভাইরাস সৃষ্টির প্রক্রিয়া এখনও রহস্যময়” - বলেন ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিন-এর গবেষক অধ্যাপক রিচার্ড ঝাও।

“গবেষণার এই ফলাফল থেকে জিকা ভাইরাস কীভাবে সুস্থ কোষ আক্রমণ করে তার অভ্যন্তরীণ তথ্য পাওয়া যায়। এখন আমাদের হাতে ভবিষ্যত গবেষণার জন্য মূল্যবান সূত্র রয়েছে”, তিনি যোগ করেন।

সারা বিশ্বের সহস্রাধিক মানুষ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত, যাদের মধ্যে অধিকাংশই আমেরিকার। এখনও এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধের জন্য কোনো প্রতিষেধক বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি, খবর আইএএনএস-এর। 

এই ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ঝাও ব্যবহার করেছেন পরজীবী দিয়ে কোষের আক্রান্ত হওয়ার প্রক্রিয়া দেখার জন্য করা পরীক্ষায় বহুল ব্যবহৃত প্রজাতি, ফিশন ইস্ট। গবেষণায় ঝাও প্রতিটি ভাইরাসের ১৪টি প্রোটিন আর ছোট পেপটাইড আলাদা করেন। তারপর তিনি এই প্রোটিনগুলো কীভাবে নতুন কোষকে আক্রমণ করে তা পর্যবেক্ষণ করেন।

তিনি দেখতে পান যে, এই ১৪টি প্রোটিনের মধ্যে সাতটি প্রোটিন ইস্ট কোষের বৃদ্ধিকে রহিত করে কোনো না কোনোভাবে কোষটির ক্ষতি করে বা নষ্ট করে দেয়।

তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে কীভাবে এই সাত প্রোটিন মানবদেহে কাজ করে তা বোঝা। এখানে এমন হতে পারে প্রোটিনগুলোর একটি অপরটির চেয়ে বেশি সক্রিয় বা এরা মিলেমিশেই ক্ষতিসাধনে কাজ করছে বলে জানান গবেষকরা।