ইউটিউবের শতকোটি ডলার ‘যথেষ্ট নয়’

আয় থেকে শেষ এক বছরে সঙ্গীত শিল্পে ১০০ কোটি ডলার দিয়েছে ইউটিউব, প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের জবাবে মিউজিক রেকর্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি এই অর্থ তাদের জন্য যথেষ্ট নয়।

রিফাত আহসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2016, 03:57 PM
Updated : 8 Dec 2016, 03:57 PM

সোমবার ইউটিউবের প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা রবার্ট কিনকেল এক ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে শিল্পটির প্রতি তাদের প্রতিষ্ঠানের অবদানের উপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ইউটিউব একাই বিজ্ঞাপন রয়্যালটি বাবদ ১০০ কোটি ডলার দিয়েছে এবং নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন “বিনামূল্যের” স্ট্রিমিং সাবস্ক্রিপশন সাইটটি স্পটিফাই-এর মতই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু রেকর্ড প্রতিষ্ঠানগুলো তার এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বিশ্বব্যাপী রেকর্ডিং শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী আইএফপিআই-এর এক মুখপাত্র বলেন, “গুগল আরও অস্বাভাবিক সংখ্যা জারি করেছে যেখানে তারা দাবি করছে ইউটিউব সঙ্গীত শিল্পকে অর্থ প্রদান করেছে।“

“এই ঘোষণা উদযাপনের সামান্য কারণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য, কিন্তু বিশ্বব্যাপী ৮০ কোটি সঙ্গীত শ্রোতা নিয়ে ইউটিউব ব্যবহারকারী প্রতি মাত্র এক ডলার এর কিছু বেশি আয় করছে। এটি অন্যান্য সেবাদাতা প্লাটফর্ম যেমন অ্যাপল বা স্পটিফাই-এর তুলনায় কিছুই না। উদাহরণস্বরূপ ২০১৫ সালে স্পটিফাই একাই রেকর্ড লেবেলদের ২০০ কোটি ডলার প্রদান করে, যা ব্যবহারকারী প্রতি ১৮ ডলারের সমান।“

অন্যদিকে ইউটিউব সম্প্রতি ওয়ারর্নারের সাবেক সঙ্গীত নির্বাহী লিয়র কোহেনকে তাদের সঙ্গীতের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। তার এই নিয়োগকে সঙ্গীত শিল্পের সঙ্গে ইউটিউবের চলমান শীতল সম্পর্কের বরফ গলানোর পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

ইউটিউব এবং সঙ্গীত শিল্পের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে বিবাদ লক্ষ্য করা যায়। সঙ্গীত শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের অভিযোগ ইউটিউব তাদের ন্যায্য অর্থ প্রদান করে না, যাও করে তা তাদের প্রাপ্যের তুলনায় অপ্রতুল। পরবর্তীতে তারা একটি প্রচারণাও চালু করে, যেখানে বলা হয়- “ইউটিউবের আমাদেরকে আরও অর্থ পরিশোধ করা উচিৎ।”

সোমবার কিনকেলের  ব্লগপোস্ট প্রকাশের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।