কয়েনডেস্ক-এর তথ্য মতে বর্তমানে প্রতি বিটকয়েন প্রায় ৭৫৪.৫১ ডলারে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সে হিসাবে দাম বাড়ার সম্ভাবনা ১৬৫ শতাংশ।
নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থবছরে খরচ বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেছিলেন রিপাবলিকান পার্টির ধনকুবের ট্রাম্প। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের দেনার পরিমাণ প্রায় ২০ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে স্যাক্সো ব্যাংক। সেই সঙ্গে বর্তমান বাজেট ঘাটতি প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলার থেকে তিনগুণ হয়ে ১.২ থেকে ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্যাংকটির ভাষ্যমতে, এ সব কারণে বেড়ে যেতে পারে মুদ্রাস্ফীতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়িয়ে দিতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে ডলারের মূ্ল্যে, বৈদিশিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ডলার একটি আকর্ষণীয় মুদ্রা হওয়ায় বেড়ে যেতে পারে ডলারের দাম।
স্যাক্সো ব্যাংক-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টিন জ্যাকবসেন বলেন, “ক্রমবর্ধমান বাজার আর বিশেষত চীনে এটি একটি ডোমিনো প্রভাব সৃষ্টি করে, এটি বিশ্বব্যাপী মানুষদের একটি বিকল্প মুদ্রারূপ আর লেনদেন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত করবে।” ক্রমবর্ধমান বাজারগুলো মার্কিন অর্থনৈতিক নীতিমালা বা ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে ‘যুক্ত হতে চাইবে না’ আর বিকল্প ব্যবস্থায় আগ্রহ হয়ে উঠবে, ফলে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন লাভবান হবে বলেই মত দেন তিনি।
“রাশিয়া আর চীনের মতো সার্বভৌম দেশগুলো আর ব্যাংকিং ব্যবস্থা যদি বিটকয়েনকে মার্কিন ডলার আর প্রচলিত ব্যাংকিং ও লেনদেন ব্যবস্থার আংশিক বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করে নেয়, তাহলে হয়তো আমরা দেখব সামনের বছর বিটকয়েনের দাম সহজেই তিনগুণ হয়ে বর্তমান সাতশ’ ডলার থেকে ২১০০ ডলার হয়ে গেছে।”