সংবাদ সাইট ইন্টারসেপ্ট-এর বরাতে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফরচুন।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা এই ক্ষেত্রে “সম্ভাব্য কোনো কিছু নিয়ে” কথা বলবে না। সংবাদ সাইটটির অনুসন্ধানে আইবিএম, অ্যাপল, গুগল, ফেইসবুক, এসআরএ ইন্টারন্যাশনাল আর কানাডার সিজিআই কোনো জবাব দেয়নি।
ইন্টারসেপ্ট জানিয়েছে তারা দুই সপ্তাহ ধরে এই অনুসন্ধানের জবাব খুঁজেছে। এ জন্য তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ফোন ও ইমেইলে যোগাযোগ করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প আর তার দল মুসলিম দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসী আর মুসলিম আমেরিকানদের নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা বলে আসছে। এই ব্যবস্থার অধীনে অভিবাসী আর নাগরিকরা প্রশ্নোত্তর আর পর্যবেক্ষণের বিষয়ে পরিণত হতে পারে, ভাষ্য মার্কিন সাময়িকীর। কিন্তু এমন ব্যবস্থা কাজ করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে স্যান বার্নার্ডিনো হত্যাকাণ্ড আসামীর আইফোন আনলক এফবিআইয়ের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে আইনি লড়াই চালায় অ্যাপল। গ্রাহক প্রাইভেসি রক্ষায় বরাবর শক্ত অবস্থান নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানও এই অনুসন্ধানের কোনো জবাব দেয়নি, বিষয়টি ‘অবাক করা’ বলেই মন্তব্য ফরচুন-এর। একই কথা বল চলে গুগল নিয়েও। তাদের দীর্ঘদিনের স্লোগান “ডোন্ট বি ইভিল” বা শয়তান হয়ো না-এর মানে ধীর্ঘ দিন ধরেই বিবেচনা করা হচ্ছে গ্রাহকের বিশাল ডেটার কারণে প্রতিষ্ঠানটির হাতে যে বিশাল ক্ষমতা আছে সেটিকে বিবেচনার সঙ্গে ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি হিসেবে। তারাও চলতি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।