প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, “প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম শুধু জাতির সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা নয়, আমরা যেখান থেকেই আসি না কেন, এই স্বীকৃতি দেশের উন্নতির জন্য পরিবর্তনের চেতনাকে শ্রদ্ধা জানানো। বিজ্ঞানী থেকে মানবপ্রমিক, সাংগঠনিক সক্রিয় কর্মী থেকে সরকারি কর্মকর্তা, ক্রিয়াবিদ এবং শিল্পকর্মীদের ২১ জন ব্যক্তিত্ব আমেরিকাকে সামনের দিকে অগ্রসরে সহায়তা করেছেন, সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষদের অনুপ্রাণিত করেছেন।”
বিভিন্ন খাতের এই ২১ জনের মধ্যে প্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধিও রয়েছেন। তারা হলেন- রিচার্ড গারউইন, বিল গেটস এবং স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস, মার্গারেট এইচ হ্যামিলটন ও গ্রেস হপার।
সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকায় আছেন মার্গারেট এইচ হ্যামিলটন, যিনি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা’র অ্যাপোলো কমান্ড মডিউল এবং লুনার মডিউল এর জন্য অন বোর্ড সফটওয়্যার নির্মাতা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি এসিক্রনাস সফটওয়্যার, প্রায়োরিটি শেডিউলিং এবং প্রায়োরিটি ডিসপ্লে-তে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন, যা আধুনিক, বিশেষ নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার ডিজাইন এবং প্রোকৌশলীতে অবদান রেখেছে।
‘বিস্ময়কর লাবণ্য’ এবং ‘সফটওয়্যার এর প্রথম নারী’ হিসেবে পরিচিত রিয়ার অ্যাডমিরাল গ্রেস হপার ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত অগ্রভাগ থেকেই কম্পিউটার এবং প্রোগ্রামিং ডেভেলপমেন্ট-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হপার এর অবদান প্রোগ্রামের কোডিং ভাষাকে আরও প্রয়োগিক এবং গ্রহণযোগ্য করায় বিশেষ সাহায্য করেছে। তিনি প্রথম এমন একটি কম্পিউটার বানিয়েছেন যা সোর্স কোড একটি ভাষা থেকে আরেকটি ভাষায় রূপান্তর করতে পারে। বিশ্বযুদ্ধ দুই চলাকালীন অবস্থায় তিনি ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাভাল রিসার্ভ-এ লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন এবং তার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্টের ভ্যাসার কলেজে শিক্ষাকতা করেছেন।