স্যামসাং কার্যালয়ে ফের তল্লাশি

ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাংয়ের বিভিন্ন কার্যালয়ে আর দেশের জাতীয় পেনশন তহবিল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পেনশন সার্ভিস (এনপিএস)-এর কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতি নিয়ে এক তদন্তের অংশ হিসেবে এই তল্লাশি চালানো হয়, এই দুর্নীতিতে দেশটির প্রেসিডেন্টও সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2016, 12:45 PM
Updated : 23 Nov 2016, 12:45 PM

স্যামসাংয়ের একটি একীভূতকরণ প্রচেষ্টায় সমর্থন যোগাতে ওই তহবিলকে প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাই চাপ দিয়েছেন কিনা তা নিয়েই এই তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ। এই সমর্থনের বিপরীতে স্যামসাং পার্ক-এর বন্ধু চই সুন-সিল কে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।

এই কেলেঙ্কারির প্রেক্ষিতে পার্ক-কে পদত্যাগ করতেও আহ্বান জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। কিন্তু এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে তিনি এগুলোকে ‘কাল্পনিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ছাড় পাননি পার্ক-এর ওই বন্ধুও। জালিয়াতের চেষ্টায় অভিযুক্ত চই-এর বিরুদ্ধে পার্ক-এর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে নিজের লাভের জন্য তহবিল ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এই কেলেঙ্কারিতে পার্ক একটি ‘বিবেচনাযোগ্য ভূমিকা’ পালন করেছেন বলে দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। স্থানীয় গণমাধ্যম ও বিরোধী দলের দাবি তিনি পার্কের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবহার করে তার তহবিলে কয়েক লাখ ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছেন। দেশটির অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান স্যামসাংও অনুদানদাতাদের মধ্যে অন্যতম। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি তার বন্ধু চই কোনো সরকারি পদে না থাকা সত্ত্বেও তার সঙ্গে গোপনীয় নথি আর সব বক্তৃতা শেয়ার করতেন।

২০১৫ সালে ইলেকট্রনিক জায়ান্টটির অধিনস্থ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি আর সহযোগী প্রতিষ্ঠান শেইল ইন্ডাস্ট্রিজ-এর একীভূত হয়। এ নিয়েই বুধবারের তল্লাশি চালানো হয়। এউ চুক্তি নিয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারধারীর ভিন্নমত ছিল। তাদের দাবি ছিল এর মাধ্যমে সংখ্যালঘু শেয়ারধারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন আর স্যামসাং গ্রুপের মালিক লি কুন-হি এর পরিবার লাভ পাবে। দুই প্রতিষ্ঠানেই শেয়ার থাকা এনপিএস এই চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়ে তা পাকাপোক্ত করে দেয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, স্যামসাং চই আর তার মেয়ের মালিকানায় থাকা একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৮ লাখ ইউরো দিয়েছিল আর বিনিময়ে তারা এই চুক্তির জন্য পার্ক-এর সমর্থন অর্জন করে।  

বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিলেও তল্লাশির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্যামসাং ও এনপিএস।