ফেইসবুকের বিশেষ এই সংস্করণটি মূল সাইটের মতোই। এতে লাইভ স্ট্রিমিং, মেসেজিংয়ের মতো অপশনগুলো রাখা হলেও এটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা থাকবে বলে জানিয়েছে, বিবিসি।
কর্মীদের নতুন এই সংস্করণটি ইমেইল-এর মতো অন্যান্য ব্যবসায়িক টুলগুলোকে প্রতিস্থাপন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া এটি বেশ কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী সেবাকেও টেক্কা দেবে বলে মনে করছেন পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান লুইস-এর বিশ্লেষক ক্রিস গ্রিন।
সাইটটির মাধ্যমে ফেইসবুক মাইক্রোসফটের অভ্যন্তরীন যোগাযোগের মাধ্যম 'ইয়ামার' এবং 'স্ল্যাক'-এর মতো মেসেজিং টুলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্রিন বলেন, "এটি শুধু ব্যবসার জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করা নয়। এটি তাদেরকে গুগল ক্লাউড-এর মতো অনেকগুলো আলাদা সেবার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ দেবে। একটি সংহত পণ্য দিয়ে এটি বেশকিছু পরিবেশকে নাড়া দেবে।"
দুই বছর আগে থেকেই 'ফেইসবুক অ্যাট ওয়ার্ক' নামে 'ওয়ার্কপ্লেস' সাইটটি পরীক্ষা করা হচ্ছিল। ইতোমধ্যেই এক হাজার ব্যবসায় সাইটটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
ফেইসবুকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, "আমরা দেখেছি যে, ফেইসবুক আপনাকে শুধু আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সংযুক্ত রাখে। সহ-কর্মীদের সঙ্গেও একই কাজ করা যেতে পারে। কর্মস্থানে আমরা ফেইসবুকের সর্বোত্তমটা নিয়ে এসেছি।"
'ওয়ার্কপ্লেস'-ই ফেইসবুকের প্রথম এমন সেবা যেখানে সাবস্ক্রিপশন ফি রাখবে প্রতিষ্ঠানটি।