ভোক্তা ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারীরা ধীরে ধীরে ওএলইডি স্ক্রিনের দিকে সরে যাচ্ছে। আর এই স্ক্রিন এলসিডি স্ক্রিনের তুলনায় আরও পাতলা ও নমনীয়।
শার্প জানিয়েছে, ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে চালু হতে যাওয়া পশ্চিম জাপানের ওসাকা আর মি এলাকার প্ল্যান্টগুলোয় পরীক্ষামূলক উৎপাদন প্রকল্পে এই বিনিয়োগ করা হবে। ওএলইডি ডিসপ্লে নিয়ে নিজ দেশিয় প্রতিদ্বন্দ্বী জাপান ডিসপ্লে'র সঙ্গে জোট বাঁধার আশা করছে শার্প, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী তাই জেন-উ'র বরাতে অগাস্টে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় ব্যবসায়-বাণিজ্যবিষয়ক জাপানি দৈনিক নিকেই।
চলতি বছর শার্প-কে কিনে নেয় ফক্সকন। এর মাধ্যমে তারা জাপানি প্রতিষ্ঠানটির উন্নত স্ক্রিন প্রযুক্তিতে নিজেদের অ্যাকসেস নিশ্চিত করে আর এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি তাদের মূল ব্যবসা- অ্যাপলের জন্য পণ্য সরবরাহে মূল্য নির্ধারণে ক্ষমতা বাড়ায় বলে বলা হয়েছে রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে, শার্প-এর দক্ষিণ কোরীয় প্রতিদ্বন্দ্বীরাও শেষ দুই বছর ধরে এই প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে উঠেপড়ে লেগেছে। ২০১৫ সালে এলজি ডিসপ্লে জানায়, তারা আল্ট্রা-থিন প্যানেল নির্মাণে নতুন এক প্লান্টের ১০ ট্রিলিয়ন ওন (নয়শ' কোটি ডলার) বিনিয়োগ করবে। স্মার্টফোনের জন্য ওএলইডি ডিসপ্লে নির্মাণে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ডিসপ্লে ২০১৭ সালের মধ্যে এই খাতে ৪ ট্রিলিয়ন ওন বিনিয়োগ করছে।
২০২০ সালের মধ্যে ওএলইডি স্মার্টফোন প্যানেল এলসিডি'র স্থান নিয়ে নেবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস।