ইনফোআর্মার-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় হ্যাকের ঘটনায় চুরি হওয়া গ্রাহকের তথ্য অন্তত তিন খদ্দেরের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক দলও রয়েছে। আর এই হ্যাকের পেছনে 'ইস্টার্ন ইউরোপিয়ান' সন্ত্রাসী দলের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এই হ্যাকের সঙ্গে আসলেও কোনো রাষ্ট্র জড়িত কি না এ বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ইয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে এফবিআই এর পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
ইয়াহু হ্যাক করে অন্তত ৫০ কোটি গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা, যাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাইবার আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০১৪ সালে এসব অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি হয় বলে ইয়াহুর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
এই ঘটনার তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক মার্কিন সরকারী সূত্র থেকে জানানো বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই হ্যাকের ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো জোরালো প্রমাণ মেলেনি।
ইনফোআর্মার-এর চিফ ইন্টেলিজেন্স অফিসার অ্যান্ড্রু কোমারোভ বলেন, "তাদের কখনও হ্যাকের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তারা শুধু কোনো সুপরিচিত সাইট খুঁজছিল, যার অনেক ব্যবহারকারী আছে।"
যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম কোম্পানি ভেরাইজন গত জুলাইয়ে ৪৮০ কোটি ডলারে ইয়াহুকে কিনে নেয়। গত অগাস্টে ‘পিস’ নামের এক হ্যাকার ২০ কোটি ইয়াহু অ্যাকাউন্টের তথ্য বিক্রির চেষ্টা চালালে কোম্পানিটিতে বড় ধরনের সাইবার হামলার খবর ছড়ায়।