মার্কিন সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠানটি এশিয়ান আবেদনকারী ও কর্মীদের প্রতি 'সুশৃঙ্খলভাবে' বৈষম্য করেছে, জানিয়েছে বিবিসি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে সিলিকন ভ্যালির এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়োগ ব্যবস্থায় বৈষম্য করে আসছে।
মার্কিন কর্মী বিভাগ ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে ও এর সঙ্গে যারা বেতন আর পদন্নোতি হারিয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
প্যালান্টির টেকনলোজি এ অভিযোগ ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার’ করেছে।
মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “আমরা হতাশ কেননা কর্মী বিভাগ প্রশাসনিক ব্যবস্থা বেছে নিয়েছে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমরা অভিযুক্ততা অস্বীকার করছি।"
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, “আমাদের নিয়োগচর্চা তুলে ধরা সত্ত্বেও কর্মী বিভাগ সংকীর্ণ ও ত্রুটিযুক্ত পরিসংখ্যানের উপর নির্ভর করছে, যেখানে ২০১০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনটি চাকরি বর্ণনা অন্তর্ভুক্ত।"
প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে বলে তারা “ পটভূমি, কাছে আসার প্রক্রিয়া এবং পরিচয়ের পার্থক্য এবং বৈচিত্রতাকে উদযাপন করে"।
মার্কিন সরকার কর্মীদের প্রতি তিনটি বৈষম্যের ভূমিকা খুঁজে পেয়েছে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দ্বিধা তৈরি করে। মান যাচাই প্রকৌশলী পদে ৭৩০ জন আবেদনকারী থেকে প্রতিষ্ঠানটি একজন এশিয়ান এবং ছয়জন নন-এশিয়ান কর্মীকে নিয়োগ দেয় যেখানে ৭৭ শতাংশই ছিল এশিয়ান আবেদনকারী।
১১৬০ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৮৫ শতাংশ এশিয়ান ছিল এবং সফটওয়্যার প্রকৌশলীর পদে মাত্র ১১ জন এশিয়ান এবং ১৪ জন নন-এশিয়ানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
কোয়ালিটি ইঞ্জিনিয়ার ইন্টার্ন পদে ১৩০ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৭৩ শতাংশ এশিয়ান ছিল। তার মধ্যে নিয়োগ দেয়া হয় মাত্র ৪ জনকে।