৩০০ কোটি অনুদানে জাকারবার্গ ও চ্যান

সামনের দশকে চিকিৎসা গবেষণার জন্য ৩০০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার মনস্থির করেছেন মার্ক জাকারবার্গ ও তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান।

রিয়াদ মোর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2016, 07:04 AM
Updated : 23 Sept 2016, 07:04 AM

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্যান ফ্রানসিসকোতে এক সম্মেলনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকের প্রধান জাকারবার্গ বলেন, তার সর্বশেষ লক্ষ্য হচ্ছে- “এই শতাব্দীর মধ্যে সব ধরনের রোগ দূর করা।"

এই অনুদান দেওয়া হবে চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ থেকে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের স্বাস্থ্য খাতে আগ্রহ ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ক্যান্সার রোগের ‘সমাধান’ বের করতে আগ্রহ প্রকাশ করে মার্কিন সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের ডিপমাইন্ড প্রকল্পটি এনএইচএস (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) -এর সঙ্গে কাজ করছে যেন কম্পিউটার আরও ত্রুটিহীনভাবে শরীর থেকে রোগ খুঁজতে পারে।

কম্পিউটার নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান আইবিএম আর ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তারা এআই-এর মাধ্যমে বয়স্ক এবং চলাফেরায় অক্ষম রোগীদের সহায়তায় প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

এদিকে জাকারবার্গ ও চ্যানও ইতোমধ্যে তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন। মার্ক জাকারবার্গ জানান, রোগের সমাধান বের করার থেকে অসুস্থতার জন্য ৫০ গুণ বেশি অর্থ খরচ করা হয়, অসুস্থতা দূর করতে হলে এটি বন্ধ করতে হবে এবং পরিবর্তন আনতে হবে।

জাকারবার্গ তিনটি নীতির কথা জানান, যা তিনটি বিনিয়োগের পথ প্রদর্শক হবে। সেই তিনটি হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলীদের একত্র হওয়া, উন্নত গবেষণার জন্য আরও বেশি প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করা এবং অনুদানের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে সাড়া বিশ্বে বিস্তার করা।

চ্যান জানান, তারা ইতোমধ্যে ৬০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করে ফেলেছেন এবং তা হল একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা। এই প্রতিষ্ঠানটির নাম হবে বায়োহাব, যা সব প্রোকৌশলী, কম্পিউটার বিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানী, রসায়নবিদ এবং অন্যান্য উদ্ভাবকদের এক সঙ্গে নিয়ে আসবে।

এই বায়োহাব দুটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে। প্রথমটি হবে একটি ম্যাপ যার নাম সেল অ্যাটলাস। এটি মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর কোষের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বর্ণণা দেবে।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইনফেকশাস ডিজিস ইনিশিয়েটিভ যা নতুন পরিক্ষা এবং এইচআইভি, ইবোলা, জিকার মতো রোগগুলো ঠেকানোর জন্য ভ্যাকসিন নির্মাণে ও উন্নয়নে কাজ করবে।