সেক্সটিং বিষয়ে পরামর্শ মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থার

পেশাদারদের সেক্সটিং বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সাস্থ্যসেবা সংস্থা এনএইচএস কর্তৃপক্ষ। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ‘স্বাভাবিক’ যৌন অভ্যাস এবং ক্ষতিকর যৌন আচরণের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করতে এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রিয়াদ মোর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2016, 02:31 PM
Updated : 22 Sept 2016, 02:31 PM

সেক্সটিং বলতে যৌন সংক্রান্ত ছবি বা কথার মাধ্যমে বার্তালাপকে বোঝায়।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কেয়ার এক্সিলেন্স (এনআইসিই) জানায়, সেক্সটিং দুশ্চিন্তার বিষয় এবং অবশ্যই তা নজরে থাকা উচিত। সংস্থাটি জানায়, সেক্সটিং কমবয়সীদের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা জানাই শুধু যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে সমাজকর্মী, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের উচিত বয়স অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।

ভুল যৌন আচরণের মধ্যে সেক্সটিং অন্তর্ভুক্ত বলেও জানায় সংস্থাটি।

বিবিসি জানিয়েছে, নির্দেশিকায় পরামর্শ দেওয়া আছে যে পেশাদাররা আচরণ পরীক্ষার জন্য ব্রুক সেক্সচুয়াল বিহ্যাভিয়ারস ট্রাফিক লাইট টুল-এর মতো যন্ত্রের সহায়তা নিতে পারে। যদি আচরণ ক্ষতিকারক হয় তবে ওই টুল লালচিহ্ন দেখাবে আর তা স্বাভাবিক  হয়ে থাকলে সবুজ দেখাবে।

সেক্সটিংয়ের জন্য বাদামী রং ব্যবহার করা হয়েছে, কেউ যদি যৌন ছবি মেসেজ করে থাকে এমনকি উভয় সেচ্ছায় তা করে থাকে তবে এই বাদামী রংয়ের চিহ্নটি দেখা যাবে।

এই সতর্কতা চিহ্নটি শিশুদের ভাষা এবং খেলা সম্পর্কিত যৌনতার বিষয়গুলোতেও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

শিশু মনোচিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল্লাহ ক্রাম এনআইসিই-এর এই নির্দেশিকা বানাতে সহায়তা করেছেন। তিনি জানান, নির্দেশনাগুলো অনলাইনে ঘোরাফেরা এবং পর্নোগ্রাফির সময়বৃদ্ধি বিবেচনা করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “পরামর্শটি ব্যবহার উপযোগী। এটি (যন্ত্রটি) মানুষদের কিছু আভাস দেবে যে বাচ্চাদের আচরণ সঠিক পথে যাচ্ছে কিনা।

কিছু জিনিস অবশ্যই জানা যাবে কিন্তু অন্যান্য আচরণগুলো বিচার করা কঠিন যেগুলো ধূসর ঘটনা। যদি সন্দেহ হয় তবে উচিত বিশেষজ্ঞদের কাছে ওই বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া।"