এই সমস্যার কথা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি বলে, "সম্প্রতি নোট ৭- এর রিপোর্ট করা ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে, একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর আমরা ফোনটির ব্যাটারি সেলে সমস্যা খুঁজে পেয়েছি।"
অবশ্য স্যামসাং তাদের অফিশিয়াল বার্তায় অগ্নিঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করেনি। বরং জানিয়েছে, বাংলাদেশে যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি নোট ৭ এখনও বিক্রি শুরু করেনি, ফলে যে ডিভাইসগুলো বিক্রি করা হবে সেগুলো সম্পূর্ণ ঝুঁকিমূক্ত থাকবে।
স্যামসাং বাংলাদেশ-এর একজন মুখপাত্র বলেন, "গ্যালাক্সি নোট ৭ এখনও বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি শুরু হয়নি। আমরা আমাদের সম্মানিত গ্রাহকদের এই প্রতিশ্রূতি দিচ্ছি যে, বাংলাদেশে যেই গ্যালাক্সি নোট ৭ আসবে তাতে নিশ্চিত করা হবে সর্বোচ্চ গুণমান।"
১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এমন ৩৫টি ঘটনা তাদেরকে জানানো হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। যেসব গ্রাহক এই মূহুর্তে গ্যালাক্সি নোট ৭ ব্যবহার করছেন, সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাদের স্বেচ্ছায় তাদের সেই সব ডিভাইস নতুন আরেকটি ডিভাইসের সঙ্গে পরিবর্তন করে দেওয়া হবে বলেও এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
১০টি বাজারে নিজেদের এই ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ডসেট বিক্রি স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চীনে একটি ভিন্ন ব্যাটারি ব্যবহার করায়, চীনা বাজারে থাকা স্মার্টফোনগুলো এই সমস্যায় আক্রান্ত নয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক বাজারের স্মার্টফোনেই এই ত্রুটি পাওয়া যায়। এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোন ব্যবসায়ের প্রধান কোহ ডং-জিন।
বাজারে ডিভাইসটি বের করা হয়েছে দুই সপ্তাহ পার হল, এর মধ্যেই স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার সময় আগুন ধরে যায়- এমন অভিযোগ উঠে।
স্যামসাংয়ের ওই কর্মকর্তা ঠিক কতগুলো স্মার্টফোন সরিয়ে নিতে হবে তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কোনো সংখ্যা জানাননি। তবে, তিনি জানান, স্যামসাং এখন পর্যন্ত ২৫ লাখ প্রিমিয়াম ডিভাইস বিক্রি করেছে। শুধু গ্রাহকদের কাছে থাকা ত্রুটিপূর্ণ ব্যাটারি থাকা স্মার্টফোনগুলোই নয়, সেই সঙ্গে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে থাকা আর ট্রানজিটে বিক্রি করা ইউনিটগুলোও বদলে দেবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।