শুনানির সরাসরি সম্প্রচার চান কিম ডটকম

বিচারের মুখোমুখি করতে নিউ জিল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো নিয়ে আদালতের শুনানি ইউ টিউবে সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে বলে দাবি করেছেন 'ইন্টারনেট পাইরেট' হিসেবে পরিচিত জার্মান প্রযুক্তি উদ্যোক্তা কিম ডটকমের আইনি দল।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2016, 12:05 PM
Updated : 29 August 2016, 12:05 PM

ফাইল শেয়ারিং সাইট মেগাআপলোড-এর মাধ্যমে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন আর মুদ্রাপাচারের অভিযোগে সাইটটির নির্মাতা কিম-কে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে কিনা- এ নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ডে অনেক দিন ধরেই মামলা চলছে। দেশটির নিম্ন আদালতে প্রথমে কিম-কে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তান্তর করা যেতে পারে বলে রায় দেওয়া হয়। রায়ের বিপরীতে কিম-এর করা আপিলের প্রেক্ষিতে ওই রায় দেওয়ার নয় মাস পর উচ্চ আদালতে এই শুনানি হতে যাচ্ছে। 

শুনানির কিছু অংশে উপস্থিত থাকা ডটকম এই টুইটে বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র 'যদি তোমার কিছু লুকানোর না থাকে, তবে তোমার ভয়েরও কিছু নেই'- এমন নীতিতে নিজদেরে গণ নজরদারি কার্যক্রমের সমর্থন দেয়, কিন্তু তারা আমার শুনানির সরাসরি সম্প্রচারের বিরোধিতা করে।" 

সোমবার আদালতের শুনানি চলাকালে তা ইন্টারনেটে সরাসরি দেখানোর একটি অনুরোধ করা হয় বলে জানিয়েছেন ডটকম-এর আইনজীবী ইরা রথকেন। একটি বড় ইসু হচ্ছে কোনো সরকার ব্যবহারকারীদের কাজের জন্য স্টোরেজ সরবরাহকারীদের দায়ী করতে পারে কিনা আর এই ইসু বিস্তৃত হয়ে বৈশ্বিক আগ্রহে পরিণত হয়েছে বলেও জানান তিনি। রয়টার্স-কে করা এক ইমেইলে তিনি বলেন, "আমরা আশা করি আদালত সরাসরি সম্প্রচারের পক্ষে যাবে, যাতে সিলিকন ভ্যালি থেকে শুরু করে ওয়েলিংটন পর্যন্ত পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই মামলার আদালতকক্ষে অ্যাকসেস পায়, এই মামলা পুরো ইন্টারনেট সম্প্রদায়ের উপর প্রভাব রাখতে পারে।" 

মঙ্গলবার বিচারক সরাসরি সম্প্রচারের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে লড়া নিউ জিল্যান্ড-এর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদেড় একজন মুখপাত্র জানান, আদালতের বাইরে শুনানি চলাকালীন এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। 

২০১৫ সালের নভেম্বরে অনলাইন ফাইল শেয়ারিং সাইট ‘মেগাআপলোড’-এর প্রধান কিম ডটকম ও তার তিন সহকর্মীকে বিচারের জন্য নিউ জিল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হাতে হস্তান্তর ইসু নিয়ে আদালতে শুনানি শেষ হয়।

সে সময় ডটকমের আইনজীবী রন ম্যানসফিল্ড বলেছিলেন, এই ইসুতে যদি শেষ পর্যন্ত মার্কিন সরকারের জয় হয় তবে এর প্রভাব ফেইসবুক থেকে ইউটিউব পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রায় সব ক্ষেত্রেই পড়বে।

২০১২ সালে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘মেগাআপলোড’ বন্ধ করে দেয় মার্কিন আদালত। অবৈধভাবে মুভি ডাউনলোড করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সাইটটি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।