অ্যারো-ইঞ্জিন গ্রুপ অফ চায়না নামে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে প্রচলিত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত, জানিয়েছে বিবিসি। নিবন্ধন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মূলধন হিসেব করা হয়েছে সাড়ে সাতশ কোটি মার্কিন ডলার।
সামরিক এবং বাণিজ্যিক উভয় প্লেনেরই ইঞ্জিন তৈরি করবে অ্যারো-ইঞ্জিন। অনেক আগে থেকেই নিজের দেশেই প্লেন তৈরি করে আসছে চীন। তবে, ইঞ্জিনের জন্য তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর। এবার সেই নির্ভরতা কাটাতেই নিজস্ব উদ্যোগে ইঞ্জিন তৈরি করবে দেশটি।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং এই উদ্যোগকে বৈশ্বিক বিমান শক্তিতে চীনের মর্যাদা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি 'কৌশলগত পদক্ষেপ' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ যাবত জেনারেল ইলেক্ট্রিক এবং ইউনাইটেড টেকনোলজিস প্র্যাট & হুইটনি -এর কাছ থেকে বাণিজ্যিক প্লেনের ইঞ্জিন ক্রয় করে আসছিল চীন। আর সামরিক প্লেনের ইঞ্জিনের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভর করে আসছিল দেশটি।
বর্তমানে দেশটিতে 'এভিআইসি' সামরিক প্লেন তৈরি করে। আর দেশটিতে অভ্যন্তরীণভাবে বানানো সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী প্লেন তৈরি করে আসছে 'কম্যাক'।
২০৩০ সালের মধ্যে দেশটিতে বৈশ্বিক কোয়ান্টাম যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে চলতি বছরের ১৬ অগাস্ট বিশ্বের প্রথম কোয়ান্টাম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে চীন।