বহু খণ্ডকালীন বেতনভুক্ত কর্মী রয়েছে অ্যামাজনের। কিন্তু এই দলটির সকল সদস্যই চুক্তিভিত্তিক কর্মী। দলের মধ্যে তাদের ব্যবস্থাপকও অন্তর্ভুক্ত বলে জানানো হয়। দলটির সদস্যরা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণকালীন কর্মীর সকল সুবিধার সঙ্গে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করা কর্মীর পাওনার ৭৫ শতাংশ পাবেন।
অ্যামজনের এমন উদ্যোগের কারণ হিসেবে জানানো হয় তাদের লক্ষ্য হলো, "হ্রাসকৃত সময় সূচীর একটি কর্ম পরিবেশ তৈরি করা এবং সেটিও সফল ও কর্মজীবন বৃদ্ধির একটি পরিবেশ হবে।" গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত 'রিইনভেন্টিং দ্য ওয়ার্ক-লাইফ-রেশিও ফর টেক ট্যালেন্ট' শীর্ষক এক কর্মসূচী থেকেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
কর্মক্ষেত্র হিসেবে অ্যামাজনকে চ্যালেঞ্জিং এবং নির্দয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবার সেই তকমা কাটাতেই উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এই কর্ম সময়ের লাভ লোকসানের বিষয় ইতোমধ্যেই বেশ আলোচনা সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। মেক্সিকান শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী কার্লোস স্লিম মনে করেন নতুন কর্ম সময়সূচী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য আরও বাড়াবে।
অ্যামাজনের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিতে কর্ম-সপ্তাহ পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই তাদের। তবে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও যাতে এমন কিছু উদ্যোগ নেয় সেইজন্য তাদের উৎসাহিত করবে অ্যামাজন।