ওই দুই প্লান্টের ম্যালওয়্যার কার্যকর অবস্থায় ছিল না এবং আগুন লাগার পেছনে কোনো ভূমিকা পালন করেনি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের অসামরিক প্রতিরক্ষা প্রধান গোলামরেজা জালালি বলেছেন, "পেট্রোকেমিক্যাল ইউনিটগুলোতে করা পরিদর্শনে এক ধরনের শিল্পখাতের ম্যালওয়্যার পাওয়া শনাক্ত করা হয় আর এজন্য প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"
রয়টার্স জানিয়েছে, ইরান ভিনদেশী রাষ্ট্রগুলোর সাইবার আক্রমণের হুমকি নিয়ে সতর্ক। বর্তমান সময়ের 'বিখ্যাত' স্টাক্সনেট কম্পিউটার ভাইরাস-এর মাধ্যমে ২০০৯ ও ২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পে প্রচ্ছন্নভাবে অন্তর্ঘাত করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এই ভাইরাস ইরানের ইউরেনিয়াম বৃদ্ধির 'সেন্ট্রিফিউজ' ধ্বংস করে দেয়।
এ খবর প্রকাশের আগের সপ্তাহে দেশটির ন্যাশনাল সাইবারস্পেইস কাউন্সিল এক ঘোষণায় জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া পেট্রোকেমিক্যাল আগুন সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে সংঘটিত কিনা তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
জুলাইয়ে দেশটির বু আলি সিনা রিফাইনারি কমপ্লেক্স-এ আর চলতি মাসে ঘটা অন্যান্য আগুনের ঘটনাগুলো নতুন-আবিষ্কৃত এই ম্যালওয়্যার-এর কারণে হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে, জালালি বলেন, "আবিষ্কার করা এই শিল্পখাতের ম্যালওয়ার সাম্প্রতিক আগুনের ঘটনাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।"