হ্যাক: কারাদণ্ডের মুখে রুশ এমপি’র ছেলে

বৃহস্পতিবার রাশিয়ান এক আইনপ্রণেতার ছেলের বিরুদ্ধে হ্যাকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ব্যবসায় থেকে ক্রেডিট কার্ড নাম্বার হাতিয়ে তা বেচতে ওই হ্যাক চালানো হয়, এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। 

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2016, 02:39 PM
Updated : 26 August 2016, 02:39 PM

রোমান সেলেজনেভ নামের ওই অভিযুক্ত 'ট্র্যাক ২' নামে পরিচিত বলে জানিয়েছে রয়টার্স। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আট দিনের শুনানি শেষে একটি সুরক্ষিত কম্পিউটার ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে জালিয়াতির অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। 

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস প্রায় ১০ বছর তদন্ত চালানোর পর সেলেজনেভ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ২০১৪ সালে তাকে মালদ্বীপ থেকে আটক করা হয়, সে সময় রাশিয়া এ ঘটনাকে 'অপহরণ' হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়।

সেলেজনেভ-এর বাবা ভ্যালেরি সেলেজনেভ, রাশিয়ান পার্লামেন্ট-এর একজন সদস্য। চলতি বছর ২ ডিসেম্বর থেকে দোষীকে অন্তত চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে জানান তারা আইনজীবী জন হেনরি ব্রাউন।

৩২ বছর বয়সী সেলেজনেভ এ রায় নিয়ে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাউন। সেলেজনেভ-কে মালদ্বীপ থেকে 'অবৈধভাবে' আটক করা হয়েছে বলে দাবি করে এবং আটকের সময় জব্দ করা একটি নষ্ট' ল্যাপটপ'-কে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে আইনজীবীদের সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।

ব্রাউন বলেন, "এমন জঘন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, এমন কোনো মামলার বিষয়ে আমার জানা নেই।"

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর-এর মাধ্যমে সেলেজনেভ খুচরা বিক্রি ব্যবস্থা হ্যাক করেন এবং সেখানে ম্যালওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে ওয়াশিংটন স্টেট-এ থাকা রেস্টুরেন্ট আর পিৎজা পার্লারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে থাকা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার হাতিয়ে নেন। এরপর ওই ক্রেটি কার্ড নাম্বারগুলো বিভিন্ন 'কার্ডিং' ওয়েবসাইটের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। আর ক্রেতারা ওই কার্ড নাম্বারগুলো ব্যবহার করে জালিয়াতিমূলক কেনাকাটা করেন। এর ফলে তিন হাজার সাতশ' আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনীজীব্দের দেওয়া তথ্যমতে, সব মিলিয়ে তিনি ২৯ লাখ ক্রেডিট কার্ড নাম্বার হাতিয়ে বিক্রি করেছেন। তার ল্যাপটপে ১৭ লাখেরও বেশি নাম্বার রয়েছে, সেই সঙ্গে এই হ্যাকের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সার্ভার, ইমেইল আর লেনদেন সম্পর্কিত প্রমাণও রয়েছে।