প্রতিষ্ঠানটির বানানো নোটবুকের চাহিদা আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠায় এমন সাফল্য বলে বলা হয়েছে রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে। তবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর অংশ হিসাবে এইচপি'র প্রিন্টার বিক্রি কমে যাওয়ায়, বর্তমান প্রান্তিকের লাভ নিয়ে এইচপি'র করা পূর্বাভাস বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে নিচে রয়েছে। চলতি প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় ৩৪ থেকে ৩৭ সেন্ট বেড়ে যাবে বলে প্রত্যাশা এইচপি'র। কিন্তু থমসন রয়টার্স-এর তথ্যমতে, বিশ্লেষকরা গড়ে শেয়ার প্রতি ৪১ সেন্ট আশা করছেন।
নোটবুক বিক্রি বাড়ার কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির কম্পিউটার ব্যবসায় থেকে আয় সাড়ে সাত শতাংশ বেড়েছে। নোটবুক বিক্রির পরিমাণ ১২ শতাংশ বাড়লেও, ডেস্কটপ আর বাণিজ্যিক গ্রাহকদের চাহিদা কমে যাওয়ায় এর লাভের অংকটা কিছুটা ম্লান হয়ে যায়। প্রিন্টার ব্যবসায় থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয় এক বছর আগের তুলনায় ১৪.৩ শতাংশ আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৪.৬ শতাংশ কমে যায়।
প্রতিষ্ঠান প্রধান ডায়ন ওয়েজলার বলেন, বাজার অনেকটা “চ্যালেঞ্জিং” রয়েছে আর কিছুটা পরিবর্তনশীল। “আমাদের আরও অনেক কিছু করার আছে।”
তৃতীয় প্রান্তিকে প্রায় এক হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছিল এইচপি। এর ফলে চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি মোট কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যা দুই হাজার তিনশ' হয়েছে। ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ২৮৭০০০ জন। চলতি অর্থবছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় তিন হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের আশা করছে।