অ্যাশলে ম্যাডিসন অ্যাকাউন্ট বন্ধের আদেশ

কানাডাভিত্তিক অনলাইন ‘পরকীয়া’ সাইট 'অ্যাশলে ম্যাডিসন' গোপনীয়তা ভঙ্গের বহুল অভিযোগের মুখে অবশেষে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবহারকারিদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করতে বলে রাজি হয়েছে।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 02:28 PM
Updated : 24 August 2016, 02:28 PM

'হ্যাকাররা গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করছে' অনেক ব্যবহারকারীর এমন অভিযোগের পর অস্ট্রেলিয়ান ও কানাডিয়ান যৌথ গোপনীয়তা তদন্ত কমিশনার সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাইটটির গোপনীয়তা 'অত্যন্ত গুরুতর' হুমকির সম্মুখীন।

ব্যবহারকারিদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি কর্মচারী এবং শত শত নাগরিক অর্থ শোধ করে তাদের অ্যাকাউন্ট মুছে দিতে প্রতিষ্ঠানটিকে অনুরোধ জানায়। ২০১৫ সালে ব্যবহারকারীদের ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ, ইমেইল অ্যাকাউন্ট এবং বাড়ির ঠিকানাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকাররা ফাঁস করে দেয়।

যৌথ প্রতিবেদনে অংশ নেওয়া অ্যাশলে ম্যাডিসনের মালিক প্রতিষ্ঠান 'অ্যাভিড লাইফ মিডিয়া' তদন্তে প্রকাশ করেছে যে, সাইটটির পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কাঠামো নেই।

স্কাই নিউজ জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো করা অস্ট্রেলিয়ান ও কানাডিয়ান যৌথ গোপনীয়তা তদন্তে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্ট বাতিল করলেও তাদের তথ্যগুলো এএলএম-এ থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ব্যবহারকারীদের ইমেইল আর অন্যান্য তথ্যাদি পরিচালনার ব্যাপারে এএলএম-এর স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।

প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে, যা এএলএম বাস্তবায়ন করবে বলে সম্মত হয়েছে।

তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত হ্যাকাররা দাবী করেছেন, ব্যবহারকারীদের তথ্য ধরে রাখার আগেই যাতে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অস্ট্রেলিয়ান গোপনীয়তা কমিশনার টিমোথি পিলগ্রিম বলেন, "আমাদের উন্মোচিত তদন্ত প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে, এটা সত্য যে তারা ব্যবহারকারিদের তথ্যগুলো যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করেনি।"

আইটি সিস্টেমের বাইরেও যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী প্রশিক্ষণ, নীতিমালা, তদারকি আর কর্তৃত্বের স্পষ্ট চিন্তাভাবনা করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি।

গ্রাহকদের সতর্ক করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার ব্যাপারে মনোযোগী হতে নির্দেশ দেওয়া হয় প্রতিবেদনে।