পাকিস্তানে 'বিতর্কিত' সাইবার আইন

নতুন এক সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে পাকিস্তান। প্রণয়নের পর পর তা জন্ম দিয়েছে বিতর্কেরও।

নাজিয়া শারমিনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2016, 11:51 AM
Updated : 13 August 2016, 11:51 AM

এ আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রকদের হাতে বিশেষ ক্ষমতা থাকবে, যার ভিত্তিতে যদি তারা কোনো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধ বলে বিবেচনা করেন, তবে তা ব্লক করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদ ‘প্রিভেনশন অফ ইলেকট্রনিক ক্রাইমস বিল ২০১৫’ অনুমোদন করে। এর আগে জুলাই মাসে সিনেট থেকে এটি অনুমোদিত হয়েছে।

নতুন এ আইন অনুসারে ইন্টারনেটের নিষেধাজ্ঞা জঙ্গিবাদের মতো বৃদ্ধি পাওয়া ঝুঁকি থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু এ আইনটি মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এর অস্পষ্ট ভাষার সুযোগে বাক স্বাধীনতা হরণে ব্যবহৃত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গণতন্ত্রপন্থী কর্মীরা।

ডিজিটাল রাইটস ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা নিঘাত দাদ বলেছেন, “পাকিস্তানি ব্যবহারকারীদের জন্য সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের কোন সুবিধা নেই। এই ভাবে রাষ্ট্র মানুষের জীবনে বাঁধা দিতে পারে না।”

এ আইন অনুসারে ‘নিয়োগ, তহবিল এবং সন্ত্রাসী পরিকল্পনার’ জন্য সাত বছরের বেশি কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। এটি ‘অনুমোদিত কর্মকর্তাদের’ যে কারও যে কোনো কম্পিউটার, মোবাইল ফোন অথবা অন্য কোনো ডিভাইস তদন্তের স্বার্থে আনলক করার সুযোগ দেয়।

কর্মীরা জানিয়েছেন, বিলটির অস্পষ্ট ভাষা ব্যঙ্গ বা অন্য দেশের মানহানির জন্য কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি, যা বিভিন্ন বিদ্রূপাত্মক ওয়েবসাইট ও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে আদালতে অভিযুক্ত করতে ব্যবহৃত হতে পারে।

এ ছাড়াও আইনটিতে ‘প্রতারণা’ এর জন্য তিন বছরের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

দাদ জানিয়েছেন, কোনটি অবৈধ তা সিদ্ধান্ত নিতে আইনটি পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি-কে ‘সীমাহীন ক্ষমতা’ দিয়েছে।

সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইবার অপরাধ হ্রাসে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

ফেইসবুক, গুগল ও টুইটার ইসলামী জঙ্গিদের অনলাইন প্রচারণা ও নিয়োগ প্রদান থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকারকে এ ব্যাপারে সাহায্য করছে।

ডিজিটাল অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা বাইটস ফর অল-এর সূত্রমতে, পাকিস্তানে ১৯ কোটি মানুষের মধ্যে তিন কোটিই প্রধানত মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে।