"যেখানে আমরা পুঁজিবাদী সর্ববৃহৎ কর্পোরেশন, এমনকি শীর্ষে থাকা জিএম-এর চেয়ে বড়। অথচ আমরা ধরে নিচ্ছি যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ মুনাফাই আসছে আয়ারল্যান্ড থেকে, যেখানে মাত্র কয়েকশ’ মানুষ সেখানে কাজ করছে। এটি স্পষ্টতই ভণ্ডামী’ স্টিগলিৎজ ব্লুমবার্গ-কে বলেন। "আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য দেশে কর্মসংস্থান রাখার যে কর আইন আছে, তা অত্যন্ত ভুল। আমি মনে করি, আমেরিকায় পরিবর্তন আনতে এই বিষয়ে আমাদের ঐক্যমত্যে আসা প্রয়োজন”, যোগ করেন তিনি।
অ্যাপল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, তারা আয়ারল্যান্ডে প্রায় ৫৫০০ জন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭৬০০০ জন কে নিয়োগ দিয়েছে। আয়ারল্যান্ডে অ্যাপলের কর্মীদের একটি অংশ গ্রাহক সেবায় কাজ করছে, যেখানে তারা সফটওয়্যারের সমস্যা আর মানুষের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু অ্যাপলের আরঅ্যান্ডডি-এর কর্মীদের বৃহত্তর অংশ কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রচলিত মার্কিন কর আইন আর কর্পোরেশনের নিয়মানুসারে, প্রতিষ্ঠানটি আয়ারল্যান্ডের মতো জায়গায় টাকা স্থানান্তর করতে পারে, আর সেখানে তাদের কর্পোরেট কর আসে সাড়ে ১২ শতাংশেরও অনেক কম।
অ্যাপলের সর্বশেষ আয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপলের নগদ ২৩২০০ কোটি মার্কিন ডলার রয়েছে, যার মধ্যে ২১৫০০ কোটি মার্কিন ডলারই রাখা আছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। কর নীতি সংরক্ষণের জন্যেই অ্যাপলের এই ব্যবস্থা বলে ধারণা করেন অনেকে।