ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর জানিয়েছে, জ্যাক কিলবোর্ন নামের ওই যুবক গেইমটি খেলা শুরু করার আগে ‘ভেঙ্গে’ পড়েছিলেন। বিষাদময় জীবন থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে। চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাজ্যের লিস্টার-এর বহুতল গাড়ির পার্কিং থেকে লাফ দিতে গিয়ে শেষ মূহুর্তে ফিরে আসেন তিনি।
মানসিক বিষণ্ণতার কারণে ঘর ছেড়ে বের হওয়া বন্ধ করে দেয় জ্যাক। কিন্তু যুক্তরাজ্যে পোকিমন গো গেইমটি চালু হওয়ার পর বেঁচে থাকার জন্য নতুন কিছু পান তিনি। পোকিমন খুঁজতে কয়েক সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো ঘর থেকে বের হন। এমনকি পোকিমন ধরতে তিনি তার নিজের শহর লিস্টার থেকে প্রায় ৭৫ মাইল হেঁটে পার হন।
জ্যাক বলেন, “আমি বাড়ি ছেড়ে বের হতে চাইনি। আমি আমার নিজের চিন্তা ভাবনার মধ্যে বন্দী হয়ে ছিলাম। আমি দুই সপ্তাহ বাড়ির মধ্যে কাটিয়েছি কারণ আমি বাইরে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “আমি দুনিয়ার এবং আমার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম এবং কয়েক মাস আগে আমি আত্মহত্যা করার জন্য গাড়ি পার্কিং থেকে লাফিয়ে পরতে গিয়েছিলাম। শেষ মূহুর্তে কিছু একটা আমাকে বাধা দেয় এবং আমি নেমে আসি।”
এরপর বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে চিকিৎসকের কাছে যান জ্যাক। তিনি এমন কিছু খুঁজছিলেন যেটি তাকে এর থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবেন। পোকিমন গো উন্মোচন করা হলে তিনি বেঁচে থাকার জন্য নতুন কিছু খুঁজে পান।
তিনি বলেন, “পোকিমন গো উন্মোচন করা হলে আমি অ্যাপটি ডাউনলোড করি এবং এটি আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করে। ১৫০টি পোকিমনের মধ্যে এখন আমার কাছে ৭৫টি আছে এবং আমি সবগুলো ধরতে চাই। পোকিমন আমার জীবন বাঁচিয়েছে। এটি আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে এবং আমাকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে।”
পোকিমন গো যাতে তার মতো আরও মানুষকে সহয়তা করতে পারে সেই লক্ষ্যে হ্যাচ, ক্যাচ, ইভোলভ নামে নতুন প্রকল্প চালু করেছেন জ্যাক। এই প্রকল্প মানুষকে বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠে ভালোভাবে বাঁচতে সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।