"মঙ্গলে না গিয়ে, আমরা মধ্যপ্রাচ্য আক্রমণ করেছি"

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাত থেকে সিলিকন ভ্যালি-তে দাপুটে এবং বড় বিনিয়োগকারী এমন নামগুলোর মধ্যে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সমর্থক একজনকেই পাওয়া যায়, তিনি হচ্ছেন পিটার থিল। বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন-এ রাখা এক বক্তব্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পতন ঠেকাতে মনযোগের আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2016, 03:00 PM
Updated : 23 July 2016, 03:01 PM

প্রযুক্তিগত ব্যবহারের দিকে নজর দিয়ে তিনি বলেন, "আমাদের পারমাণবিক বেইসগুলো এখনও ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করে। এমনকি আমাদের সবচেয়ে নতুন ফাইটার জেটগুলো বৃষ্টিতে উড়তে পারে না। মঙ্গলে না গিয়ে, আমরা মধ্যপ্রাচ্য আক্রমণ করেছি।"

পেইপ্যাল-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ফেইসবুকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থিল তার 'অদ্ভুত দর্শনের' জন্য পরিচিত। তিনি সমকামীদের অধিকার ও গাঁজা বৈধ করাকে সমর্থন করেন। সরকারী সহায়তা পৌছায় না এমন ভাসমান শহরগুলোর শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছেড়ে ব্যবসায় চালু করতে উৎসাহ দেন তিনি।

নিজের বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে নানা সময় আলোচনায় রয়েছেন ট্রাম্প। এই নেতার অভিবাসী ও বাণিজ্য 'বিরোধী' অবস্থানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাণকেন্দ্র সিলিকন ভ্যালিতে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেখানে ট্রাম্পকে থিলের সমর্থন সিলিকন ভ্যালিতে কৌতূহল আর হাসি তামাশার জন্ম দেয়, ভাষ্য রয়টার্সের।

অনেক প্রযুক্তি কর্মকর্তাই ডেমোক্রেটিক পার্টি-কে সমর্থন করেন। আর কম্পিউটার সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচপি-এর সহ-প্রধান নির্বাহী ও সিলিকন ভ্যালি-এর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মেগ হুইটম্যান একজন রিপাবলিকান সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্পকে বর্জন করেছেন।

রিপাবলিকান পার্টি সাধারণত সমকামীদের বিবাহ ও অন্যান্য অধিকার রক্ষার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সেখানে থিল নিজেই একজন সমকামী। দলের সামনে বক্তৃতায় তিনি সমকামীদের অধিকার নিয়ে কথা বলবেন তা আগেই আঁচ করা যায়। তিনি বলেন, "আমি একজন সমকামী হিসেবে গর্বিত। আমি একজন রিপাবলিকান হিসেবে গর্বিত। কিন্তু সব ছাড়িয়ে, আমি একজন আমেরিকান হিসেবে গর্বিত।"

রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে, ঘোষণা দেওয়া সমকামী পাওয়া গেছে মাত্র দুইজনকে। এদের মধ্যে থিল একজন, জানিয়েছে সিএনএন। তিনি বলেন, "আমি যখন একজন শিশু ছিলাম, একটি বড় বিতর্ক ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন-কে কীভাবে হারানো যাবে তা নিয়ে আর আমরা জিতে গেলাম। এখন মনে হচ্ছে আমাদের কাছে সবচেয়ে বিতর্কেরত বিষয় হচ্ছে, কে কোন বাথরুম ব্যবহার করবে। এটি আমাদের মূল সমস্যাগুলো নজর সরে যাওয়ার একটি কারণ। কে পাত্তা দেয়?"

ট্রাম্পকে কেন থিলের সমর্থন? থিল জানান, তার বিশ্বাস ট্রাম্প দেশের অর্থনৈতিক পতনের দিকে নজর দিতে পারবেন। তিনি মহাকাশবিষয়ক কার্যক্রম ও অন্যান্য সরকারের প্রযুক্তি অর্জন-কে তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে দেশ কী হারিয়েছে তার দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি।

থিলের বয়স যখন এক বছর, তখন তার পরিবার জার্মানি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ডে অভিবাসী হয়। এই শহরেই এই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। এই তথ্য জানানোর পর তিনি অনুষ্ঠানস্থল থেকে সরব সাধুবাদ পান।