মাইক্রোওয়েভ শনাক্তকরণে নতুন রেকর্ড

ফিনল্যান্ডের আল্টো ইউনিভার্সিটি-এর বিজ্ঞানীরা ১৪ ধাপে পুরানো রেকর্ড ভেঙ্গে মাইক্রোওয়েভ শনাক্তকরনে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন, যা চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়া কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য অতি সংবেদনশীল ক্যামেরা আর আনুষঙ্গিক উপকরণ উৎপাদনে কৃতিত্ব স্বরূপ হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

জাকিয়া শবনম বৃষ্টিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2016, 02:59 PM
Updated : 11 July 2016, 02:59 PM

আইএএনএস জানিয়েছে, আংশিক অতিপরিবাহী মাইক্রোওয়েভ শনাক্তকরণ যন্ত্র ব্যবহার করে বিশ্ব রেকর্ডটি গড়া হয়েছে। ছোট ছোট অতিপরিবাহী অ্যালুমিনিয়ামের অংশ আর একটি সোনালি ন্যানোওয়্যার দিয়ে বানানো এই নতুন শনাক্তকরণ যন্ত্রের নকশাটি ছিল উন্নয়ন সক্রিয় করাতে দুটি মুখ্য বিষয়ের মধ্যে একটি।

নকশাটি প্রবেশমান ফোটনের সঠিক শোষণসহ সংবেদনশীল ফলাফল দুটোরই নিশ্চয়তা দেয়। বিজ্ঞানীদের মতে, পুরো শনাক্তকরণ যন্ত্রটি মানুষের একটি রক্তকণিকার চেয়েও আকারে ছোট।

“আকার আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোট শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে আমরা বেশি সংকেত আর ব্যপক উৎপাদনে কম খরচ পাই,” রেকর্ড ভাঙ্গা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং অ্যান্ড ডিভাইসেস-এর গবেষণা দলের প্রধান মিকো মটোনেন এমনটা বলেন।

দ্য ইউরোপিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল (ইআরসি) সম্প্রতি বাণিজ্যিকভাবে প্রয়োগের জন্য যন্ত্রটি উন্নতকরণের অনুমোদন দিয়ে মটোনেনকে পুরস্কৃত করেছে।

নতুন শনাক্তকরণ যন্ত্রটি শূন্য তাপমাত্রার উপরে এক ডিগ্রির শতাংশ পর্যন্ত কাজ করে। এরকম কম তাপমাত্রায় তাপীয় ব্যাঘাত এত দূর্বল হয় যে, গবেষণা দলটি একটি মাত্র জেপটোজোলের শক্তি প্যাকেট শনাক্ত করতে পারে। এই শক্তিটি একটি লাল রক্তকণিকাকে মাত্র এক ন্যানোমিটারে উপরে তুলতে সাহায্য করে।

উন্নয়নের দ্বিতীয় প্রধান বিষয়টি ক্ষুদ্র এই শক্তির প্যাকেট থেকে আগত সংকেত বিকাশ নিয়ে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা একটি জিনিস ব্যবহার করেছেন, যা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হিসেবে পরিচিত। যার মানে বাইরে একটি শক্তির উৎস থাকবে, যা শোষিত ফোটন থেকে উৎপন্ন তাপমাত্রার পরিবর্তনে শক্তি যোগাবে। 

দেয়ালের ওপারে যাতায়াত করার ক্ষমতার বদৌলতে মাইক্রোওয়েভ বর্তমানে মোবাইল ফোনে যোগাযোগে আর স্যাটেলাইট টেলিভিশনে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরও সংবেদনশীল মাইক্রোওয়েভ শনাক্তকরণ যন্ত্র বর্তমান যোগাযোগ সিস্টেমসহ পরিমাপ কৌশলে বিশাল উন্নয়ন ঘটাতে পারে।

“বিরাজমান অতিপরিবাহী প্রযুক্তি একক মাইক্রোওয়েভ ফোটন তৈরি করতে পারে। যদিও এরকম ভ্রাম্যমান ফোটন শনাক্ত করা একটি অসামান্য চ্যালেঞ্জ বটে। আমাদের ফলাফল দেখায় যে, এই সমস্যা সমাধানে তাপ শনাক্তকরণ ব্যবহার করলে আমরা এক ধাপ এগিয়ে যাব,” এই গবেষণার প্রথম লেখক জুনাস গোভিনিয়াস এমনটা বলেন।